Congress

গুজরাতে ইস্তফা, রাজ্যসভা নিয়ে বিপাকে কংগ্রেস

গুজরাত কংগ্রেসের সভাপতি অমিত ছাবড়ার অভিযোগ, ‘‘খবরে প্রকাশ, কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক কেনার জন্য ৬৫ কোটি টাকা হাত বদল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোয়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২০ ০৫:৫৫
Share:

রাহুল গাঁধী।

মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি গুজরাতেও সঙ্কট বাড়ছে কংগ্রেসের।

Advertisement

গতকাল পর্যন্ত কংগ্রেসের চার বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন। সে তালিকায় যোগ হয়েছে আরও একটি নাম। কিন্তু বিধায়কেরা দল ছেড়ে দেওয়ায় গুজরাতে নতুন সঙ্কট হল, রাজ্যসভা নির্বাচনে কী হবে? গুজরাতে চারটি আসনে ভোট। তার মধ্যে ২টি আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত ছিল। ২টিতে আশা ছিল ক‌ংগ্রেসের। কিন্তু দলের বিধায়কেরা বেরিয়ে যাওয়ায় কংগ্রেসের দ্বিতীয় আসন এখন অনিশ্চিত। ফলে ভরতসিন সোলাঙ্কি আর শক্তিসিন গাহিলের মধ্যে কে নিজের নাম প্রার্থীপদ থেকে প্রত্যাহার করবেন? এই নিয়েই তুলকালাম এখন কংগ্রেসে।

কারণ, শক্তিসিন গাহিল অনেক দিন ধরেই দিল্লিতে গাঁধী পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন। রাহুল গাঁধী সভাপতি থাকার সময়েও তাঁর উত্থান হয়েছে। কিন্তু গুজরাতে সংগঠনের দিক থেকে অনেক বেশি প্রভাবশালী সোলাঙ্কি। যদিও রাজনৈতিক শিবিরে জল্পনা, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সোলাঙ্কি পরিবারের পুরনো বিবাদ। সোলাঙ্কিকে রোখার জন্যই পদত্যাগ-পর্ব করানো হয়েছে। আর কংগ্রেস সূত্রের দাবি, সোলাঙ্কি যদি প্রার্থী না হন, নিজের অনুগামী বিধায়কদের উপর প্রভাব খাটিয়ে শক্তিসিনেরও যাত্রা ভঙ্গ করবেন। এই পরিস্থিতিতে সনিয়া গাঁধীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি কাকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চান। দিল্লিতে এআইসিসির এক নেতা বলেন, ‘‘প্রার্থী প্রত্যাহার করা নিয়ে যদি বিতর্ক বেশি হয়, তা হলে তা করা হবে না। ভোটের আগে সনিয়া গাঁধী স্থির করবেন, কাকে প্রথম পছন্দের ভোট বেশি দিয়ে জিতিয়ে আনা হবে।’’ রাজ্যসভার ভোটের আরও ১০ দিন বাকি। ওই নেতার ইঙ্গিত, প্রতিপক্ষের দল ভাঙিয়ে সমর্থন জোগাড় করা যায় কি না, এর মধ্যে তাও দেখা হবে। কংগ্রেসের আর এক নেতার কথায়, এর থেকে রাজীব শুক্লকে প্রার্থী করে দিলে লাভ হত। ক্রিকেট জগতের যোগাযোগ খাটিয়ে বরং অমিত শাহ বা জয় শাহের সঙ্গে কোনও রফা করতে পারতেন। কিন্তু গুজরাতের কংগ্রেস নেতারাই তাঁকে ‘বহিরাগত’ বলে আটকে দেন।

Advertisement

গুজরাত কংগ্রেসের সভাপতি অমিত ছাবড়ার অভিযোগ, ‘‘খবরে প্রকাশ, কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক কেনার জন্য ৬৫ কোটি টাকা হাত বদল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোয়।’’ উল্টো দিকে বিজেপির অমিত মালব্যের অভিযোগ, ক’দিন আগে গুজরাতে বিজেপির এক প্রবীণ নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার টোপ দিয়েছিল কংগ্রেস। যদি তিনি ২০ বিধায়ক ভাঙিয়ে আনেন। এখন তাঁদেরই ৫ বিধায়ক ইস্তফা দিচ্ছেন। কংগ্রেসকে ভাবতে হচ্ছে দুই প্রার্থীর মধ্যে কাকে রাখবে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement