কংগ্রেস অফিস ভাঙচুর। মঙ্গলবার পুণের শিবাজিনগরে। ছবি- টুইটার থেকে সংগৃহীত।
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের জোট সরকারে কংগ্রেস বিধায়ক সংগ্রাম থোপ্তে কোনও মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন তাঁর সমর্থকরা। শিবাজিনগরে দলীয় দফতরে লাঠি ও রড নিয়ে ঢুকে পড়লেন জনাকয়েক কংগ্রেস কর্মী। দলীয় দফতর ভাঙচুর করা হল। ভেঙে ফেলা হয় দরজা, জানলার কাচ। কাচের টেবিল। কম্পিউটার, টেলিভিশন, অন্যান্য আসবাবপত্র। নষ্ট করা হল কংগ্রেস কার্যালয়ের অনেক নথিপত্রও।
মঙ্গলবার সন্ধায় শিবাজিনগরে ‘কংগ্রেস ভবন’ ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অনন্ত রাও থোপ্তের ছেলে সংগ্রাম এ বার পুণের ভোর বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু তাঁকে এ বার শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারে কোনও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি।
তারই প্রতিবাদে থোপ্তের সমর্থকরা গত কাল সন্ধ্যায় স্লোগান দিতে দিতে চড়াও হন শিবাজিনগরের কংগ্রেস দফতরে। ঢুকেই তাঁরা কংগ্রেস ভবনের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করতে শুরু করে দেন। ভেঙে ফেলা হয় দরজা, জানলার কাচ। কাচের টেবিল। কম্পিউটার, টেলিভিশন, অন্যান্য আসবাবপত্র।
দলের শিবাজিনগর শাখার প্রধান রমেশ বাগওয়ের কক্ষটিও রেহাই পায়নি থোপ্তের ক্ষিপ্ত সমর্থকদের রোষ থেকে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বালাসাহেব থোরাট এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে তিনি শীঘ্রই কথা বলবেন।
সোমবারই ঠাকরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটানো হয়। নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পেয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনসিপি এবং কংগ্রেসের অনেক প্রবীণ নেতা।