— প্রতীকী চিত্র।
আকরিক লোহা চুরি এবং অবৈধ ব্যবসার অভিযোগে এক কংগ্রেস বিধায়ককে সাত বছরের কারাদণ্ড দিল কর্নাটকের বিশেষ আদালত। সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডিত বিধায়কের নাম সতীশচন্দ্র সেল। কারওয়ারের ৫৮ বছর বয়সি কংগ্রেস বিধায়ক-সহ ছয় অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়েছিল। সবাইকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
কারওয়ার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দু’বার জয়ী হন সতীশ। কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী ওই বিধায়কের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। কোম্পানির নাম শ্রী মল্লিকার্জুন শিপিং প্রাইভেট লিমিটেড। বেশ কয়েক বছর আগে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। চুরি, প্রতারণা, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত হন কংগ্রেস বিধায়ক এবং তাঁর সংস্থার কয়েক জন। ২০১০ সালে মামলাও দায়ের হয়। সে বছর বেলেকিরি বন্দর থেকে উদ্ধার হয় কোটি টাকার মূল্যের আকরিক লোহা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সেগুলো অবৈধ ভাবে বন্দরের একটি জায়গায় জড়ো করা হচ্ছিল। নাম জড়ায় ওই কংগ্রেস বিধায়কের। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন সতীশ। তাঁর সঙ্গীদের তিন বছরের জেল হয়েছে। তা ছাড়া মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে প্রত্যেককে। চুরি মামলায় কংগ্রেস বিধায়ককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৬ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে তাঁকে। শুধু তা-ই নয়, প্রতারণার মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক। ওই মামলায় সমস্ত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বিধায়ককেও।
আদালতের নির্দেশের পর কংগ্রেস বিধায়ক-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তারাই সংশ্লিষ্ট মামলাগুলির তদন্ত করছিল। ওই ঘটনায় কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, ‘‘আমি কর্নাটক বিধানসভার স্পিকারকে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে দোষীর বিধায়ক পদ বাতিল করা হোক।’’