কংগ্রেসের ‘ভারত বাঁচাও সমাবেশে’ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। শনিবার, দিল্লির রামলীলা ময়দানে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘স্বৈরতান্ত্রিক কাজকর্ম’ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-জমানার বেহাল অর্থনীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। দিল্লির ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে কংগ্রেসের ‘ভারত বাঁচাও সমাবেশ’-এ শনিবার প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘বাবাসাহেবের (অম্বেডকর) হাতে বানানো সংবিধানটা এই সরকার শেষ করে দেবে। বিজেপি সরকারের ৬ বছর হয় গেল। চাকরির নতুন সুযোগ তৈরি হওয়া তো দূরের কথা, বহু মানুষ চাকরি খোয়াতে শুরু করেছেন। জিএসটির জন্য ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে খুব। চরম ভোগান্তি হচ্ছে কৃষকদের। একের পর এক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’’ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সমাজের সব অংশের মানুষকে জোট বাঁধারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এর পর বিজেপির ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় (মোদী থাকলে এটাও সম্ভব)’ স্লোগানকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেত্রী। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার আছে বলেই তো কোটি কোটি মানুষ চাকরি খোয়াচ্ছেন... এটাও সম্ভব... বিজেপি ক্ষমতায় আছে বলেই তো লক্ষ লক্ষ কৃষকের এই ভোগান্তি...এটাও সম্ভব হচ্ছে...বিজেপি আছে বলেই তো রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে... এটাও সম্ভব।’’
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘স্বৈরতান্ত্রিক কাজকর্ম’, বেহাল অর্থনীতি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, চাকরি ও ঋণজর্জর কৃষকদের সমস্যার প্রতিবাদে এ দিন রামলীলা ময়দানে কংগ্রেসের ‘ভারত বাঁচাও সমাবেশে’ হাজির হন দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
সমাবেশে আসার আগেই সকালে তাঁর টুইটে তোপ দাগেন রাহুল। লেখেন, ‘‘মোদী সরকার দেশের ‘অর্থনীতিকে হাসপাতালের আইসিইউ-তে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) পাঠিয়ে দিয়েছে। স্বৈরতন্ত্র চলছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে।’’
কংগ্রেসের দিল্লি শাখার প্রধান সুভাষ চোপড়ার দাবি, ‘‘রামলীলা ময়দানের সমাবেশে সকালেই ভিড় করেছেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। কংগ্রেসের দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও হরিয়ানা শাখাগুলি থেকে প্রচুর কর্মী, সমর্থক এসেছেন সমাবেশে।’’
সমাবেশ উপলক্ষ্যে রামলীলা ময়দানকে কেন্দ্র করে ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা জুড়ে টাঙানো হয়েছে দলনেত্রী সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর ছবি লাগানো হোর্ডিং। কংগ্রেসের ত্রিবর্ণরঞ্জিত ব্যানারে ঢেকে গিয়েছে চার পাশ।