প্রবীণ গহলৌত না কি নবীন পাইলট, কার হাতে রাজস্থান সরকারের ভার? ফাইল চিত্র।
রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছেন, তা ঠিক করতে রবিবার সন্ধ্যায় পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকল কংগ্রেস। রাজস্থানের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌত যদি কংগ্রেসে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন, সে ক্ষেত্রে নতুন কে রাজস্থান সরকারের হাল ধরবেন, তা ঠিক হতে পারে রবিবারের বৈঠকে। কংগ্রেসের অন্দরে জল্পনা, গহলৌত-বিহনে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন সচিন পাইলট, যাঁর সঙ্গে গহলৌতের সম্পর্ক যথেষ্ট ‘মধুর’ বলেই জানেন কমবেশি সকলে। রবিবার, সন্ধ্যা ৭টায় জয়পুরে গহলৌতের সরকারি বাসভবনে এই বৈঠকটি হতে চলেছে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের সকল বিধায়ককে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। দলের হাইকম্যান্ডের নির্দেশে, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজস্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অজয় মাকেন এবং পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খড়্গে। প্রাথমিক ভাবে গহলৌত মুখ্যমন্ত্রী পদ না ছাড়ার বিষয়ে অনড় ছিলেন। এক সপ্তাহ আগেই নিজের অনুগত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করে নিজের শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন গহলৌত। দলের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দিন আগেই রাহুল গান্ধী স্পষ্ট করে দেন যে, দল ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতিতেই চলবে। সে ক্ষেত্রে দলের সভাপতি নির্বাচিত হলে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না গহলৌত।
সভাপতি হলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে, তা ধরে নিয়েই গহলৌত দলকে জানান, তাঁর আস্থাভাজন কাউকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে তাঁর আপত্তি নেই বলে জানান গহলৌত। কিন্তু শনিবার সেই জোশীর সঙ্গে বৈঠক করে জল্পনায় নয়া উপাদান যোগ করেন সচিন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ চালাতে গিয়ে ‘ব্যর্থ’ হন পাইলট। উপমুখ্যমন্ত্রী পদ তাঁকে খোয়াতে হয়। সেই পাইলটই এ বার গহলৌতের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। কিছু দিন বহুজন সমাজ পার্টি থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া এক বিধায়ক জানিয়েছেন, পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হলে তাঁর এবং তাঁর মতো অনেকেরই কোনও অসুবিধা নেই। জল্পনা-কল্পনার মধ্যে অবশ্য পাইলটের সংযমী মন্তব্য, ‘এই বিষয়ে যা ঠিক করার, দলের হাইকম্যান্ড ঠিক করবে।’