Congress

বিভিন্ন রাজ্যে নেতৃত্বে বদল শুরু কংগ্রেসে

সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পরে গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রদেশ নেতৃত্বের দায়িত্বে এসেছেন অধীর চৌধুরী। বাংলায় নেতৃত্ব বদলের সম্ভাবনা কম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

দীর্ঘদিনের দাবি মেনে অবশেষে একাধিক রাজ্যে নেতৃত্ব বদলের কাজে হাত দিল কংগ্রেস। গত কাল দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর বৈঠকের পরেই আজ গুজরাত, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গনায় রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বে রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলীয় সূত্রের খবর, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে আরও বেশ কিছু পরিবর্তন হতে পারে।

Advertisement

গুজরাত উপনির্বাচনে খারাপ ফলের জন্য দলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অমিত চড্ঢা। একই পথ ধরে তেলঙ্গনা পুর ভোটে দলের বিপর্যয়ের দায় নিয়ে ইস্তফা দেন সে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উত্তমকুমার রেড্ডি। গত কাল বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে দুই নেতার ইস্তফা গ্রহণ করে তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন সনিয়া।

তবে ওই দু’জনের পরিবর্তে কাদের বেছে নেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। কোপ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথের উপরে। দলীয় সভাপতির সঙ্গেই তিনি সে রাজ্যে পরিষদীয় দলের নেতা। মধ্যপ্রদেশে সরকার ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় যে কোনও একটি পদ যে কমলকে খোয়াতে হতে পারে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে দলীয় নেতৃ্ত্ব। সরানো হয়েছে মহারাষ্ট্রে দলের দায়িত্বে থাকা বালাসাহেব থোরাতকেও।

Advertisement

লোকসভা-সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা ভোটে খারাপ ফল, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে সরকার ধরে রাখতে না-পারার কারণে দলের নবীন ও প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছিল। কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদের মতো বর্ষীয়ান নেতারা গত অগস্ট মাসে মূলত দল পরিচালনার প্রশ্নে পরোক্ষে রাহুল গাঁধীর মনোভাবের সমালোচনা করে একটি চিঠি লেখেন সনিয়াকে। মূলত দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক পদে নির্বাচনের দাবি তোলার সঙ্গেই শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তনেরও অনুরোধ জানানো হয়। কার্যকরী ও সর্বক্ষণের জন্য দলের দায়িত্ব নিয়ে প্রস্তুত এমন কারও হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার দাবিতে সরব হন ওই বিক্ষু্ব্ধরা। গত কাল ওই বিক্ষুব্ধ নেতাদের দাবি খতিয়ে দেখতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সনিয়া-রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। দলীয় সূত্রের মতে, ওই বৈঠকের ফলশ্রুতি হিসেবেই বিভিন্ন রাজ্যে নেতৃত্ব বদল শুরু হল।

আগামী বছর ভোট রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও কেরলে। সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পরে গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রদেশ নেতৃত্বের দায়িত্বে এসেছেন অধীর চৌধুরী। বাংলায় নেতৃত্ব বদলের সম্ভাবনা কম। তবে বাকি দুই রাজ্যেই ক্ষমতা ফিরে পেতে এখন থেকেই ঝাঁপাতে চাইছেন সনিয়ারা। আজ অসম ও কেরলের জন্য এআইসিসি-র দুই অতিরিক্ত সম্পাদককে নিয়োগ করেন সনিয়া। গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ তারিক আনোয়ারকে দেওয়া হয়েছে কেরলের দায়িত্ব। জিতেন্দ্র সিংহ পেয়েছেন অসমের দায়িত্ব। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের ইঙ্গিত, বছর শেষের আগেই আরও কিছু রাজ্যে এই ধরনের রদবদল হতে চলেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement