রাহুল গাঁধী।
নতুন বছর পড়তেই নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন টুইটে। নানকানা সাহিবের ঘটনার বিরোধও করছেন টুইটে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে কোনও প্রকাশ্য কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না রাহুল গাঁধীকে। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা অবশ্য এখনও ছুটে বেড়াচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের নানা প্রান্তে।
রাহুল কি তবে আবার বিদেশে গেলেন ছুটি কাটাতে? কংগ্রেসের নেতাদের কাছে তার উত্তর নেই। তবে বলছেন, তাঁরাও গত কয়েক দিন ধরে তাঁকে দেখছেন না। কংগ্রেসের অন্দরের এক সূত্রের অবশ্য দাবি, গত ৩১ ডিসেম্বরই দিল্লির বাইরে গিয়েছেন রাহুল। সপ্তাহান্তে তাঁর ফেরার কথা। সাধারণত এই সময়টি গাঁধী পরিবারের সদস্যেরা এমনিতেই ছুটি কাটাতে বাইরে যান। রাহুল গাঁধী সভাপতি থাকার সময়ে যেমন সনিয়াও গোয়াতে ছিলেন। রাহুলও যোগ দেন সেখানে। ২৮ ডিসেম্বর যে হেতু দলের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’, তাই অন্তত সভাপতি পদে থাকলে দিল্লিতে থাকতে হয়।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ গত শুক্রবারই রাজস্থানের জোধপুরের সভার গোড়াতেই বলেন, ‘‘এত জোরে ভারত মাতা কি জয় বলুন, যাতে রাহুলবাবা বিদেশে থাকলেও শুনতে পারেন।’’ কংগ্রেস নেতাদের কাছে অবশ্য রাহুলের দিল্লিতে না থাকাটা অনেকটা গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, খুব শীঘ্রই দলে রদবদল করবেন সনিয়া গাঁধী এবং সেটি হবে রাহুলের ফিরে আসার পথ সুগম করতেই। তিনি বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, রাজস্থানে শিশুমৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট জোগাড় করতে কী ভাবে সচিন পাইলটকে পাঠিয়েছেন সনিয়া গাঁধী। আর পাইলট প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধেই মন্তব্য করেছেন। এর পিছনে রাহুলের ভূমিকা নেই বলে মনে করছেন?’’