অজয় মাকেন ও মিলিন্দ দেওরা।
দিল্লিতে হারের পর কথা ছিল, কংগ্রেস লড়াইয়ে নামবে। কংগ্রেস লড়াইয়ে নামল। একে অন্যের বিরুদ্ধে। ক’দিন আগে কমল নাথের সঙ্গে লড়াই শুরু হয়েছিল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। আজ শুরু হল মিলিন্দ দেওরা বনাম অজয় মাকেনের। তা-ও টুইটারে।
কেজরীর জয়ে টুইটে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন পি চিদম্বরম। দিল্লির কংগ্রেস নেত্রী ও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা প্রশ্ন করেছিলেন, বিজেপিকে পরাস্ত করার দায়িত্ব কি ‘আউটসোর্স’ করে দেওয়া হয়েছে? তা হলে প্রদেশ কংগ্রেস তুলে দিলেই হয়! একই ভাবে আজ কেজরীর তারিফ করে বিতর্ক বাধালেন মুম্বইয়ের নেতা মিলিন্দ। টুইটে তিনি লিখলেন, কেজরীর নেতৃত্বে দিল্লি রাজস্ব দ্বিগুণ করে ৬০ হাজার কোটি টাকা করেছে। দিল্লি এখন আর্থিক ভাবে সব থেকে শক্তপোক্ত রাজ্য। যা রিটুইট করলেন খোদ কেজরী।
এ সব দেখে তেড়ে উঠলেন দিল্লি কংগ্রেসের নেতা অজয়। টুইটে মিলিন্দকে লিখলেন, ‘‘ভাই, কংগ্রেস ছাড়তে চাইলে চলে যান। কিন্তু অর্ধসত্য পরিসংখ্যান দেবেন না।’’ মাকেনের দাবি, শীলা দীক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় যে হারে দিল্লির বৃদ্ধি হয়েছে, কেজরীর সময় বরং তা কম। পাল্টা বিঁধলেন মিলিন্দও। বললেন, ‘‘ভাই, আমি শীলা দীক্ষিতের কাজ খাটো করিনি। তা আপনারই বৈশিষ্ট্য। আপের সঙ্গে জোট করার সওয়াল না করে যদি শীলার কাজ তুলে ধরতেন, দিল্লিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসত।’’
উভয়কেই রাশ টানার বার্তা দেওয়া হল দিল্লি থেকে। মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা আক্রমণ করলেন মিলিন্দকেই। বললেন, ‘‘দিল্লির বাইরে নেতাদের বরং নিজেদের কেন্দ্র ও রাজ্যে নিজেদের কাজ ও ভূমিকা খতিয়ে দেখা উচিত।’’