(বাঁ দিকে ) নরেন্দ্র মোদী। রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)।। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের পরে এ বার নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘স্থায়িত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, এ বারের লোকসভা নির্বাচন ভারতীয় রাজনীতিতে ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে।
ব্রিটেনের সংবাদপত্র ‘ফিনানশিয়াল টাইমস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেন, ‘‘নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। মোদীজিকে তাই এ বার টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’’ ভবিষ্যতে এনডিএ-র অন্দরে টানাপড়েন মোদী সরকারকে বিপাকে ফেলতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘এ বার সংসদীয় পাটিগণিত এমনই ভঙ্গুর যে, ভবিষ্যতে সামান্য মতবিরোধও সরকারের পতন ঘটাতে পারে।’’ এনডিএ নেতাদের একাংশ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বলেও দাবি করেন রাহুল।
৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২ জন সাংসদের সমর্থন। এনডিএ ২৯৩টি আসন পেলেও বিজেপির একার ঝুলিতে ২৪০। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য টিডিপির ১৬, জেডিইউয়ের ১২, শিন্ডেসেনার সাত, এলজিপিআর-এর পাঁচ সাংসদের সমর্থন মোদীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দিকে, ৯৯টি আসনে জিতে কংগ্রেস এক দশক পরে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সামগ্রিক ভাবে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ২৪৩ জন সাংসদ রয়েছেন। ফলে আগামী দিনে সংসদের নিম্নকক্ষে মোদী সরকার বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
এই পরিস্থিতিতে গত ৮ জুন লোকসভা ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকের পর মমতা বলেছিলেন, ‘‘ইন্ডিয়াই আগামী দিনে সরকার গড়বে। সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখন আমরা শুধু পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলছি।’’ এর পরে ১৫ জুন কংগ্রেস সভাপতি খড়্গে বলেন, ‘‘ভুল করে এনডিএ সরকার গঠিত হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় ভোটদাতারা নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার পক্ষে রায় দেননি। এটি একটি সংখ্যালঘু সরকার। এই সরকারের যে কোনও সময়ে পতন হতে পারে।’’ সেই প্রশ্নটাই আবার উস্কে দিলেন রাহুল।