রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত।
‘বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানো’ ওয়েনাড় ছেড়ে মা সনিয়া গান্ধীর ছেড়ে দেওয়া আসন রায়বরেলী ধরে রাখছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওয়েনাড়ে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সোমবার কংগ্রেসের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে আলোচনার পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল বলেন, ‘‘আমার কাছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। কারণ ওয়েনাড়ের মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। রায়বরেলী এবং ওয়েনাড়ের মানুষের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। আমি ওয়েনাড় ছাড়ছি। প্রিয়ঙ্কা লড়বেন ওয়েনাড় থেকে।’’
খড়্গের বাড়িতে আয়োজিত ওই বৈঠকে সনিয়া গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, এই প্রথম গান্ধী-নেহরু পরিবারের কোনও রাজনীতিক শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারত থেকে জীবনে প্রথম বার লোকসভা ভোটে লড়তে চলেছেন। রাহুল এবং তাঁর ঠাকুমা দক্ষিণ ভারত থেকে লোকসভা ভোটে লড়ে জিতলেও জীবনের প্রথম নির্বাচন উত্তরপ্রদেশ থেকে লড়েছিলেন। সনিয়া গান্ধী ১৯৯৯ সালে প্রথম বার লোকসভা নির্বাচনে লড়তে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর পাশাপাশি কর্নাটকের বল্লারীকেও বেছে নিয়েছিলেন।
রায়বরেলীতে এ বার রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন রাহুল। এই আসনে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন সনিয়া। তারও আগে রায়বরেলী থেকে কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তবে কংগ্রেসের এই পুরনো গড়ে রাহুল এ বছর পেয়েছেন মা সনিয়ার থেকেও বেশি ভোট। বিজেপির প্রার্থীকে হারিয়েছেন প্রায় চার লক্ষ ভোটে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের অমেঠী থেকে হেরে গেলেও কেরলের ওয়েনাড় জিতিয়েছিল রাহুলকে। এ বার রায়বরেলীতে জেতার পরে সেই ওয়েনাড় ছেড়ে দিলেন রাহুল।
২০১৪ সালে ৪৪ এবং ২০১৯-এ ৫২টি আসনে জেতা কংগ্রেস এ বার লোকসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসন জিতে ‘প্রধান বিরোধী দল’-এর মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছে। ফলে এক দশক পরে লোকসভায় ফিরতে চলেছে ‘বিরোধী দলনেতা’ পদ। কেরলের ওয়েনাড় এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী দু’টি আসন থেকেই সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ব্যবধানে জয়ী রাহুলই এ ক্ষেত্রে দলের ‘পছন্দ’ বলে গত ৮ জুন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। জল্পনা ছিল, সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। কিন্তু রাহুল বা তাঁর দলের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও বার্তা মেলেনি।