—ফাইল চিত্র।
স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) ক্যাটিগরির নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল আগেই। এ বার দিল্লিতে সরকারি বাংলোও খালি করতে বলা হল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে। আগামী ১ অগস্টের মধ্যে তাঁকে বাংলো ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। নইলে জরিমানা দিতে হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এসপিজি নিরাপত্তা থাকায় ১৯৯৭ সালে রাজধানীর অন্যতম নিরাপদ জায়গা বলে পরিচিত লোদী রোডের ওই সরকারি বাংলোটি পান প্রিয়ঙ্কা। গত ৩০ জুন আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে তাঁকে ওই বাংলো খালি করতে বলা হয়। জানানো হয়, লোদী এস্টেটের ৩৫ নম্বর বাংলোটি এসপিজি নিরাপত্তাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ। এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নিয়ে প্রিয়ঙ্কাকে যে হেতু জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে, তাই ওই বাংলো ছাড়তে হবে তাঁকে।
ওই নোটিসে আরও জানানো হয়, যাঁরা জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান তাঁরা সরকারি আবাসনের দাবিদার নন। নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যদি সুপারিশ করে, সে ক্ষেত্রে সংসদীয় আবাসন কমিটিই একমাত্র বিশেষ ছাড় দিতে পারে। প্রিয়ঙ্কার ক্ষেত্রে সেই ধরনের কোনও পদক্ষেপ যে হেতু করা হয়নি, তাই বাংলো ছাড়তে হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ালেন মনোহর, আইসিসি-র নতুন চেয়ারম্যান নিয়ে চলছে জল্পনা
আরও পড়ুন: শুধু করোনা নয়, মেডিক্যালে অন্য রোগীদেরও চিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ
সনিয়া, রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে দেওয়া এসপিজি ক্যাটিগরির নিরাপত্তা গত বছরের নভেম্বরে তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বদলে তাঁদের জন্য জেড প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে সরকারের তরফে বলা হয়, রাজনীতিকদের উপর হামলার আশঙ্কার প্রেক্ষিতেই তাঁদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, গাঁধী পরিবারের উপর হামলা আশঙ্কা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তার পরেই এমন সিদ্ধান্ত।