গীতা উৎসবের মঞ্চে মোহন ভাগবত। নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
দিল্লির লালকেল্লায় আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা গেল কংগ্রেসের নেতা জনার্দন দ্বিবেদীকে। এক সময়ে দশ জনপথের ঘনিষ্ঠ ছিলেন জনার্দন। কিন্তু লোকসভা ভোটের পর রাহুল গাঁধী যখন নিজের ইস্তফা ঘোষণা করেন, তখন আহমেদ পটেলদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন কংগ্রেসের এই নেতা।
লালকেল্লায় আজ ছিল গীতা মহোৎসবের আয়োজন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সঙ্ঘ-প্রধান মোহন ভাগবত, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের মতো একঝাঁক গেরুয়া নেতা এবং সন্তরা। ছিলেন টেলিভিশনে ‘মহাভারত’ সিরিয়ালে ‘দুর্যোধন’-এর ভূমিকায় অভিনয় করা পুনীত ইসারও। তার মধ্যেই প্রথম সারিতে দেখা যায় কংগ্রেসের এই নেতাটি।
স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেস শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে, রাহুল গাঁধী যখন এখনও কথায় কথায় আরএসএসকে নিশানা করেন, আরএসএসের করা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে তাঁকে, তখন সরাসরি সঙ্ঘের মঞ্চে যাওয়ার কী যৌক্তিকতা রয়েছে? যদিও এই জনার্দন দ্বিবেদীই মাস কয়েক আগে সক্রিয় হয়েছিলেন যাতে আহমেদ পটেলদের হাতে কংগ্রেসের রাশ পুরোপুরি চলে না যায়। সে কারণে পটেলের উপর ভরসা না রেখে রাহুলের উত্তরসূরি খুঁজতে কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোটের ধাক্কা গা ছমছম ‘ভূতের’ শহরেও
তাদের মঞ্চে কংগ্রেসের নেতা যাওয়ার ঘটনাকে আজ অবশ্য বড় করে প্রচার করা হয়েছে গেরুয়া শিবির থেকে। তবে কংগ্রেসের সূত্র বলছে, জনার্দন দ্বিবেদী আদৌ কোনও জননেতা নন। ফলে তিনি বিজেপিতে চলে গেলেও বিশেষ ক্ষতি নেই। দলের মুখপাত্র পবন খেরাকে আজ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি লঘু করে বলেন, ‘‘গীতা মহোৎসবেই তো গিয়েছেন উনি। গীতা তো একা মোহন ভাগবতের সম্পত্তি নয়। যে কেউ সেখানে যেতে পারেন।’’