সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের সাম্প্রতিক রায়ে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ হারে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন সমাজের গরিবরা। এ বিষয়ে সংবিধানের ১০৩তম সংশোধনীকেও বৈধতা দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এ বার এই সুপ্রিম-রায় পুনর্বিবেচনার জন্য শীর্ষ আদালতেই দ্বারস্থ হলেন এক কংগ্রেস নেতা।
জয়া ঠাকুর নামের ওই কংগ্রেস নেতা আদালতে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে যে আবেদনপত্র দাখিল করেছেন, তাতে লেখা হয়েছে, “সংবিধানের ১০৩তম সংশোধনী সংবিধানেরই মূল কাঠামোর পরিপন্থী।” একই সঙ্গে ওই আবেদনপত্রে বলা হয়, “ইন্দ্র সাহানি এবং অন্যান্য বনাম ভারত সরকারের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে অনগ্রসর শ্রেণিকে চিহ্নিত করা যায় না। কিন্তু এই রায় সুপ্রিম কোর্টের আগের নির্দেশের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়।”
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ সরকার অতিরিক্ত ১০ শতাংশ সংরক্ষণের জন্য সংসদে বিল পাস করে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সেই বিলে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কিন্তু অতিরিক্ত এই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানির বেঞ্চে। গত ৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বে গঠিত ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয় কলেজ এবং সরকারি চাকরিতে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণি (ইডব্লিউএস)র জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত বৈধ। এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ললিত এবং বিচারপতি ভট্ট এই রায়ের বিরুদ্ধমত পোষণ করেন। যদিও রায়দানের সময় বিচারপতি মহেশ্বরীর পর্যবেক্ষণ ছিল, অর্থনৈতিক মানদণ্ডের নিরিখে ইডব্লিউএস সংরক্ষণ আইন কোনও ভাবেই সংবিধানের মূল কাঠামো অথবা সাম্যের নীতিকে লঙ্ঘন করে না। তবে প্রধান বিচারপতি ললিত এবং বিচারপতি ভট্টের মতে, এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা থেকে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির দরিদ্রদের বাদ দেওয়া অসাংবিধানিক।