অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
নতুন সংসদ ভবনের প্রবেশকে স্মরণীয় করে রাখতে সাংসদদের প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছিল একটি উপহারের ঝুলি। তার মধ্যে ছিল একটি সংবিধান, সংসদ সংক্রান্ত একটি বই, একটি স্মারক মুদ্রা। বুধবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী অভিযোগ করলেন যে, সাংসদদের দেওয়া সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখ নেই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টির। যদিও অধীরের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, বিষয়টি না বুঝেই অপ্রাসঙ্গিক অভিযোগ করছেন কংগ্রেস নেতা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে অধীর বলেন, “যে সংবিধান নিয়ে আমরা নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করলাম, সেখানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দদু’টির কোনও উল্লেখ ছিল না। যদি এই দু’টি শব্দ সংবিধানে না থাকে, তবে সেটা উদ্বেগের বিষয়।” অধীরের অভিযোগ, কেন্দ্র ‘চালাকি করে’ এই পরিবর্তন করেছে। বিষয়টি সংসদেও তুলতে চান বলে জানিয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
বিজেপি অবশ্য অধীরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র তথা দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, “সংবিধান সভা যে সংবিধানে স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেই প্রথম সংবিধানের একটি করে কপি সাংসদদের দেওয়া হয়েছে। ১৯৭৬ সালে ৪২-তম সংশোধনীতে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি সংযোজিত করা হয়। তাই সেগুলির উল্লেখ নেই। এতে বিতর্কের কিছু নেই।” অধীরকে আক্রমণ করে বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, বিষয়টি না পড়ে, না বুঝেই অধীর কেন্দ্রকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন, দেশকে খাটো করার চেষ্টা করছেন।
এই প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা ডায়মন্ড হারবারের প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ী বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, “যে দু’টি শব্দ নিয়ে বিজেপির সমস্যা সেই দু’টিই বাদ দিয়েছে। আসলে বিজেপি ভারতের ধারণাকে বদলে দিতে চাইছে। সেই কারণে সংবিধানকে বিকৃত করছে। আসলে দেশপ্রেমের ভেকধারী দেশবিরোধী শক্তির নাম বিজেপি।”