ছবি: পিটিআই।
পাখির চোখ ২০১৯। সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধে লড়তে হবে। তাই কর্নাটকে মন্ত্রিসভা নিয়ে জেডি(এস)-এর সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় দরকষাকষি করে সম্পর্ক খারাপ করার পথে হাঁটলেন না রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সভাপতির নির্দেশে কর্নাটকের ভারপ্রাপ্ত নেতা কে সি বেণুগোপাল আজ ঘোষণা করে দিলেন, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ও জেডি(এস) জোট বেঁধেই লড়বে।
মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত করতে দিল্লি এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। কিন্তু রাহুল সে সময় চিকিৎসার জন্য সনিয়া গাঁধীকে নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। বুধবার ভিডিয়ো কনফারেন্সে রাহুলের সঙ্গে কুমারস্বামীর বৈঠক হয়। শুক্রবার সকালে রাহুল আর এক বার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার সঙ্গে কথা বলেন। ২০১৯-এর জোট নিয়ে তাঁদের কথা হয়।
কৃষকদের ঋণ মকুবের মতো প্রতিশ্রুতি পূরণে জেডি(এস) অর্থ মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি নিজের হাতে রাখতে চাইছিল। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা। কিন্তু রাহুল প্রথমেই স্পষ্ট করে দেন, দফতর বণ্টন নিয়ে জলঘোলা করে তিনি জোট ভাঙার পক্ষে নন। বরং ২০১৯-এ একসঙ্গে লড়তে চান। কংগ্রেসের অনুমান, এমন হলে কর্নাটকের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে কমপক্ষে ২১টি আসন জোট পাবে।
রাহুলের হস্তক্ষেপে চূড়ান্ত হয়, অর্থ মন্ত্রক জেডি(এস) পেলেও স্বরাষ্ট্র ও বেঙ্গালুরু নগর উন্নয়ন দফতর কংগ্রেসের হাতে থাকবে। তবে গোয়েন্দা দফতর থাকবে কুমারস্বামীর হাতে। দু’দলের সমন্বয় কমিটি তৈরি হবে। তার প্রধান হবেন সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। গুরুত্বপূর্ণ ৩৪টি দফতরের মধ্যে ১২টি দফতর পাবে জেডি (এস)। বাকিগুলি কংগ্রেস। বাকি দফতরগুলি কুমারস্বামী ও উপমুখ্যমন্ত্রী, জি পরমেশ্বর নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ঠিক করে নেবেন।