—প্রতীকী চিত্র।
মধ্যপ্রদেশেও ওবিসি ভোটব্যাঙ্ককে পাখির চোখ করে জাতগণনাকে হাতিয়ার করতে চাইছে কংগ্রেস। আগামী দু’একদিনের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা, মিজোরাম—পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট ঘোষণা হতে পারে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের ভোটে জিততে সেখানেও জাতগণনার প্রতিশ্রুতি দেবে কংগ্রেস। রাজস্থানে অশোক গহলৌত শুক্রবার জানিয়েছেন, ফের ক্ষমতায় এলে জাতগণনা হবে। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা ছত্তীসগঢ়ে বলেছেন, সে রাজ্যে কংগ্রেস ফের ক্ষমতায় ফিরলে জাতগণনা করা হবে। রাহুল গান্ধী আগেই বলেছিলেন, গোটা দেশেই কংগ্রেস যার যত জনসংখ্যায় ভাগ, ততখানি অধিকার মেনে জানগণনা চায়। একই ভাবে আজ মধ্যপ্রদেশ নিয়ে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকের পরে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে জাতগণনা করানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
বিজেপি ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি আসনের বিধানসভার অনেক আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ সাত জন সাংসদকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করা হয়েছে। উল্টো দিকে মধ্যপ্রদেশে যাঁরা পরপর তিন বার ভোটে দাঁড়িয়েও হেরে গিয়েছেন, তাঁদের আর প্রার্থী করবে না কংগ্রেস। এ ছাড়াও বয়সের কারণে অনেক বিধায়ককে প্রার্থী করা হবে না। কিন্তু কংগ্রেসে টিকিট না পেয়ে কেউ যাতে শেষবেলায় বিজেপিতে যোগ দিতে না পারেন, তাই আরও কিছুটা দেরি করে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করতে চাইছে কংগ্রেস।
আজ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, সনিয়া ও রাহুল গান্ধী, কমিটির নতুন সদস্য অধীর চৌধুরী হাজির ছিলেন। বৈঠকে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ কার্যত স্পষ্ট করেছেন, তিনিই নির্বাচন নিয়ে শেষ কথা বলবেন। মধ্যপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়ে দিয়েছেন, কমল নাথই ভোটে দলের মুখ হবেন।
মধ্যপ্রদেশের বিজেপির মোকাবিলায় কমল নাথ এ বার নরম হিন্দুত্বের পথ নিয়েছেন। সেই অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের পরে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস। কমল নাথ জানিয়েছেন, ২৩০টি আসনের মধ্যে ১৪০টি আসনের প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিধায়কদের মধ্যে আসন বদলাবদলি করা হবে না। যিনি যে জেলার নেতা, তাঁকে সেই জেলাতেই প্রার্থী করা হবে। টানা তিন বার হারা নেতারা টিকিট পাবেন না। ৯৮ জন বিধায়কদের মধ্যে ১৫-১৬ জনকে আর টিকিট দেওয়া হবে না।
এরই মধ্যে আজ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের প্রভাবশালী মুসলিম নেতা ইমরান মাসুদ ফের তাঁর পুরনো দল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি এসপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর ঘরে ফেরায় পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মুসলিম ভোটের বড় অংশ ফিরে পাওয়ার আশা রয়েছে কংগ্রেসের। কিন্তু এতে সে রাজ্যে এসপি এবং আরএলডি-র সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতায় সমস্যা হতে পারে বলেও আশঙ্কা দলের অন্দরে রয়েছে।