বর্তমান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। দলের মধ্যে সাংগঠনিক নির্বাচনের দাবি ওঠায় সনিয়া গাঁধী নতুন করে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছেন। বুধবার তার প্রথম বৈঠকের পরে চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি বলেন, “আমরা মূলত সাংগঠনিক নির্বাচনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেছি। দিনক্ষণ এখনও কিছু ঠিক হয়নি।”
সভাপতি পদে নির্বাচনের এই তোড়জোড়কে রাহুল গাঁধীর শীর্ষপদে ফেরার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার শুরু বলেই কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন। এমনিতে রাহুলই পিছন থেকে দল নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিহারে প্রথম দফায় ভোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে অভিযোগ ওঠায় রাহুল নিজের আস্থাভাজন রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাকে নির্বাচনের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিহারে প্রথম দফায় প্রার্থী বাছাইয়ে যে ভাবে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তাতে রাহুল ক্ষুব্ধ। সে কারণেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ভোটের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে। পরের দফায় প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য আজ সনিয়ার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়েছে।
প্রাক্তন জেডিইউ নেতা ও বর্তমানে লোক জনতান্ত্রিক দলের প্রধান শরদ যাদবের কন্যা সুভাষিণী রাজ রাও আজ কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। লোক জনশক্তি পার্টির নেতা কালিপ্রসাদ পাণ্ডেও এ দিনই কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁদের সঙ্গে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া শত্রুঘ্ন সিন্হার পুত্র লব সিন্হাকেও কংগ্রেস বিহারে প্রার্থী করতে পারে। ২৮ অক্টোবরের প্রথম দফার ভোটের আগে রাহুল নিজে ২৩ বা ২৪ অক্টোবর বিহারে যেতে পারেন।