Congress

Congress-BJP: বিজেপিকে রুখতে বিধায়কদের লুকোচ্ছে কংগ্রেস

রাজ্যসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা যথাসম্ভব কম রাখতে মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২২ ০৭:০৬
Share:

ফাইল চিত্র।

ঘর ভাঙার প্রবল আশঙ্কা। অভিযোগ, বিধায়ক কিনতে টাকার থলি নিয়ে ঘুরছেন বিজেপি নেতারা। তাই রাজ্যসভার ভোটের আগে বিজেপির হানাদারি রুখতে নিজেদের বিধায়কদের হোটেলে বন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়কদের সম্ভাব্য গন্তব্য আর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য ছত্তীসগঢ়ের রায়পুর। আর রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের রাখার কথা ভাবা হয়েছে উদয়পুরের এক হোটেলে। যেখানে ক’দিন আগেই চিন্তন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সনিয়া ও রাহুল গান্ধী।

Advertisement

রাজ্যসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা যথাসম্ভব কম রাখতে মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজস্থান, হরিয়ানা, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে একটিও বাড়তি আসন ছাড়তে রাজি নন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই ওই চার রাজ্যের রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে। এ যাত্রায় ১০ জুন দেশের ১৫টি রাজ্যে ৫৭টি আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তার মধ্যে ৪টি আসনে ভোট হবে রাজস্থানে। ওই রাজ্যে কংগ্রেস ৩ জন ও বিজেপি ২ জন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে। কংগ্রেসের প্রার্থী রণদীপ সুরজেওয়ালা, মুকুল ওয়াসনিক ও প্রমোদ তিওয়ারি। অন্য দিকে বিজেপি দলীয় প্রার্থী ঘনশ্যাম তিওয়ারি ছাড়াও সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্দল প্রার্থী সুভাষ চন্দ্রকে।

২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮। বিজেপির ৭১। ওই রাজ্যে একটি রাজ্যসভার আসন জিততে কোনও প্রার্থীকে ৪১ জনের সমর্থন পেতে হবে। সেই হিসাবে কংগ্রেসের দুই প্রার্থীর জেতার পরে বাড়তি ভোট পড়ে থাকছে ২৬টি। আবার বিজেপির প্রথম প্রার্থীকে জেতানোর পরে হাতে থাকছে ৩০টি ভোট। বিজেপির এক নেতার কথায়, “তৃতীয় প্রার্থীকে জেতাতে কংগ্রেসের দরকার ১৫টি ভোট। সেখানে আমাদের দ্বিতীয় প্রার্থীকে জেতাতে প্রয়োজন ১১টি ভোট। স্বভাবতই দৌড়ে আমরা এগিয়ে।” প্রশ্ন হল বাড়তি ভোট আসবে কোথা থেকে? বিজেপি নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, ওই রাজ্যে ১৩ জন নির্দল বিধায়কের সঙ্গে দল যোগাযোগ রাখছে।

Advertisement

হরিয়ানাতেও কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই দিতে সক্রিয় ওই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াত। রাজনীতির অনেকের মতে, রাজস্থানে কংগ্রেস শাসক দল হয়ে ঘর বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে হরিয়ানায় কংগ্রেস তো বিরোধী। ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় এ যাত্রায় দু’টি আসনে ভোট। হরিয়ানায় অজয় মাকেনকে দাঁড় করিয়েছে কংগ্রেস। অন্য দিকে বিজেপির প্রার্থী কিষেণলাল পানওয়ার ও কার্তিকেয় শর্মা।

হরিয়ানায় এক জন প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে গেলে ৩১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। কংগ্রেসের ওই রাজ্যে বিধায়ক সংখ্যা টেনেটুনে সেই ৩১-ই। কংগ্রেসের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে ওই রাজ্যে বিধায়কের একাংশ দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের আশঙ্কা, ওই বিধায়কদের নিশানা করেছে বিজেপি। অন্য দিকে প্রথম প্রার্থীকে জেতানোর পরে হরিয়ানায় বিজেপির হাতে থাকছে ১০টি ভোট। অজয় চৌটালার দল জেজেপি-র ১০ বিধায়কের সমর্থন কার্তিকেয়র পক্ষে থাকবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ক ও হরিয়ানা লোকহিত পার্টির ৭ সদস্যের সমর্থন নিয়ে কার্তিকেয়কে জিতিয়ে আনা সম্ভব বলেই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। তাই রাজস্থানের মতো ঝুঁকি না নিয়ে দলীয় বিধায়কদের রায়পুরে বা রাজস্থানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। গন্তব্য স্পষ্ট না করে হরিয়ানা কংগ্রেসের নেতা বিবেক বনসল বলেন, “আমরা এক জোট। কিন্তু বিজেপি বিধায়কেরা এক জোট তো!’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement