প্রতীকী ছবি।
উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রধান দাবিদার হরিশ রাওয়তকেই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে আসন বদলাতে হল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান হরিশ রাওয়তকে প্রথমে রামনগর থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তাতে কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি রঞ্জিত রাওয়ত বিদ্রোহ করেন। অন্তর্ঘাতের জেরে হরিশের হারের আশঙ্কায় তাঁকে রামনগর থেকে সরিয়ে লালকুয়াঁ আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। লালকুয়াঁয় কংগ্রেসের দুই নেতা টিকিট না পেয়ে এত দিন ক্ষুব্ধ ছিলেন। তবে সেখানে হরিশ প্রার্থী হওয়ায় সবাই মিলে তাঁর জন্য কাজ করবেন বলে কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি।
সব মিলিয়ে উত্তরাখণ্ডে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে কংগ্রেসকে পাঁচটি আসনে প্রার্থী রদবদল করতে হয়েছে। এরই মধ্যে আজ প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কিশোর উপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন। কিশোর বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করে চলছিলেন বলে তাঁকে প্রথমে সব পদ থেকে সরানো হয়েছিল। আজ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তার পরেই কিশোর বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁকে বিজেপি টিহরী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করতে পারে বলে জল্পনার মধ্যে আজ টিহরীর বিজেপি বিধায়ক ধন সিংহ নেগি কংগ্রেসে যোগ দেন। নেগির নালিশ, কিশোরকে টিকিট দেওয়ার বিনিময়ে বিজেপি নেতারা তাঁর থেকে ১০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। নেগি যোগ দেওয়ার পরেই তাঁকে টিহরী কেন্দ্র কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।