আয়কর নোটিস নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক কংগ্রেসের। ছবি: পিটিআই।
আরও দু’টি নোটিস আয়কর নোটিস পাঠানো হয়েছে তাদের। শনিবার এমনই দাবি করল কংগ্রেস। তাদের দাবি, ২০১৪-’১৫ এবং ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের জন্য ১,৭৪৫ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। এর আগে ১৯৯৪-’৯৫, ২০১৭-’১৮ থেকে ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ফলে সব মিলিয়ে মোট ৩,৫৬৭ কোটি টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে কংগ্রেসকে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণের আর তিন সপ্তাহ বাকি। তার আগে গত তিন দিনে আয়কর দফতর নোটিস পাঠানোয় কংগ্রেস আরও চাপে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ১৮০০ কোটি টাকা চেয়ে আয়কর দফতর নোটিস পাঠিয়েছিল রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দলকে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩০ মার্চ আরও তিনটি নোটিস দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসকে। ঘটনাচক্রে, শনিবারই রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলেছিলেন, কংগ্রেসকে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। শুধু তাই-ই নয়, বিরোধী নেতাদের জেলে ভরে নিজেরা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা চাঁদা পকেটে পুরে বিজেপি তথা মোদী সরকার ভোট জিততে চাইছে।
আয়কর দফতর আগেই কংগ্রেসের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল। ১,৮২৩ কোটি টাকা দাবি করে বৃহস্পতিবার কংগ্রেসকে নোটিস পাঠিয়েছিল আয়কর দফতর। তা নিয়ে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকও করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে তাঁরা অভিযোগ তোলেন, মোদী সরকার ‘কর সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, শনিবার কংগ্রেসের দফতরে আবারও দু’টি আয়কর নোটিস এসে পৌঁছেছে।
কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা বিবেক তাঙ্খা জানিয়েছেন, গত তিন দিনে কংগ্রেসের কাছে ৩,৫৬৭ কোটি টাকার আয়কর নোটিস এসেছে। এর আগে আয়কর দফতর কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছিল। আয়কর দফতরের এই কাজকর্মকে ‘পাগলামির চূড়ান্ত’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তাঙ্খা।