প্রতীকী ছবি।
ক্ষমতা ধরে রাখা নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও মেঘালয়ে কংগ্রেসের ভরসা ছিল বিরোধীদের নেতৃত্বহীনতা। সেই সঙ্গে খ্রিস্টান-প্রধান রাজ্যে গোমাংস বিতর্ক, ব্যাপটিস্ট নেতাকে ভিসা না দেওয়ার মতো বিভিন্ন বিষয় তো ছিলই। তাতে ভর দিয়েই কংগ্রেস রাজ্যে একক বৃহত্তম দল (২১) হিসেবে ফিরল। কিন্তু ৬০ আসনের ম্যাজিক সংখ্যা ৩১ পেতে মুকুল সাংমা বা দিল্লি থেকে আসা আহমেদ পটেল, কমল নাথরা সফল হন কি না, সেটাই দেখার।
কংগ্রেস সূত্রের দাবি, ইউডিপির ৬, পিডিএফের ৪, তিন নির্দল ও এইচএসপিডিপির ২ বিধায়ক তাদের সঙ্গেই রয়েছেন। অতএব ৩৩ বিধায়ক নিয়ে সহজেই ক্ষমতা ধরে রাখবেন মুকুল সাংমা। তবে মণিপুরে বা গোয়ায় কংগ্রেসকে যে ভাবে রুখে দেওয়া হয়েছিল, সেই একই কায়দায় মেঘালয় দখল করতে মরিয়া বিজেপি। মাত্র ২টি আসন পাওয়া বিজেপি তাতে দলগত ভাবে খুব লাভবান হবে এমন নয়। কংগ্রেসকে রোখাটাই তাদের চ্যালেঞ্জ। আজ সকালেই আগরতলা থেকে এসেছেন বিজেপি নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মা। সব হিসেব ওলটপালট করে দেওয়ায় হিমন্তের ‘সুনাম’ আজকের নয়। রাতে হাজির হয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও কে জে আলফোনস-ও।
বিজেপির আর একটা বড় ভরসা প্রয়াত গারো নেতা পূর্ণ সাংমার এনপিপি (১৯)। এনপিপি-র বর্তমান সভাপতি কনরাড সাংমা এনডিএ ও নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সদস্য হয়েও আলাদা লড়েছেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিজেপি-বিরোধী হাওয়ায় যাতে এনপিপি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে কারণে এটা ছিল তাদের নির্বাচনী কৌশল। ভোট হয়ে গিয়েছে। ফের জোট বাঁধতে আর বাধা নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়েও সংশয় আছে। কনরাড চাইছেন তাঁর বোন আগাথা সাংমাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে। অন্য সম্ভাব্য সহযোগীদের তাতে আপত্তি।