Congress

Congress: ‘চোখ বুজে’ জোট নয়, খসড়ায় বলল কংগ্রেস

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা তার সদস্য। দিগ্বিজয়, প্রিয়ঙ্কা, দু’জনেই লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২২ ০৬:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট হবে। কিন্তু বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তুলতে হবে বলেই কংগ্রেস ‘চোখ বুজে’ কোনও আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট করবে না। শুক্রবার থেকে শুরু কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে আলোচনার জন্য তৈরি রাজনৈতিক খসড়ায় এমন নীতির কথাই বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে তৃণমূল মুখে বিজেপি বিরোধিতার কথা বললেও কংগ্রেসের নেতাদের ভাঙিয়ে, কংগ্রেসকেই দুর্বল করেছে। চিন্তন শিবিরের আগে আজ কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘কংগ্রেস দুর্বল হলে, বিজেপি বিরোধী জোটও দুর্বল হবে। কংগ্রেস দুর্বল হলে বিজেপি বিরোধী জোট দানা বাঁধবে না। কংগ্রেসকে নিজেকেও শক্তিশালী করতে হবে।’’

গত সপ্তাহেই রাহুল গান্ধী তেলঙ্গানায় গিয়ে বলেছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হলেও কংগ্রেস কোনও ভাবেই কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সঙ্গে জোট করবে না। প্রশান্ত কিশোরের মত ছিল, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, কংগ্রেস তার সঙ্গে জোট করুক। এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারও বলেছেন, কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্টের কথা বলুক।

Advertisement

কিন্তু কংগ্রেস চিন্তন শিবিরে জোটের কথা বললেও চোখ বুজে জোটের পথে হাঁটতে চাইছে না। আঞ্চলিক দলের অবস্থান বুঝেই সিদ্ধান্ত হবে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের ক্ষেত্রেও একই নীতি প্রযোজ্য হবে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। তবে কংগ্রেস নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, রাজ্য স্তরে জোট ও জাতীয় স্তরে জোট আলাদা বিষয়।

১৯৯৮ সালে পাঁচমারিতে চিন্তন শিবিরে কংগ্রেস ‘একলা চলো’ নীতি নিয়েছিল। তখন কংগ্রেসের অবস্থান ছিল, জোট রাজনীতি কিছু দিনের ব্যাপার। কিন্তু ২০০৩ সালে শিমলার চিন্তন শিবিরে ভুল বুঝতে পেরে কংগ্রেস জাতীয় স্তরে ধর্মনিরপেক্ষ জোটের কথা বলে। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, এখন যাবতীয় বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনাই প্রাক্-নির্বাচনী জোটকে কেন্দ্র করে হচ্ছে। ইউপিএ বা তার আগে যুক্তফ্রন্ট সরকারের ক্ষেত্রেও নির্বাচনের পরে জোট তৈরি হয়েছিল। নির্বাচনের আগে বা পরে জোট হলেও তার জন্য কংগ্রেসের শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।

কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, চিন্তন শিবিরের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আগের চিন্তন শিবিবে সাংগঠনিক সংস্কার, নির্বাচনের মাধ্যমে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য বাছাইয়ের কথা বলা হলেও তা কার্যকর হয়নি। এইসব সিদ্ধান্ত রূপায়নের কোনও সময়ও বেঁধে দেওয়া ছিল না। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে যাবতীয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে সময় বেঁধে দেওয়া হবে।

রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কংগ্রেস নির্বাচনের আগে সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বিষয় নিয়ে সরব হয়। এই বিষয়গুলি নিয়ে নির্বাচনের পাঁচ-ছয় মাস আগে থেকে লাগাতার আন্দোলন করে যাওয়া উচিত। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এখন এই গণ আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। সনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি তৈরির জন্য দিগ্বিজয় সিংহের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছিলেন। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা তার সদস্য। দিগ্বিজয়, প্রিয়ঙ্কা, দু’জনেই লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন বলে
সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement