চেন্নাই বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর বিমানের আপৎকালীন দরজা খোলায় অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। — ফাইল ছবি।
চেন্নাই থেকে তিরুচিরাপল্লিগামী ইন্ডিগোর বিমানে ওঠার পর তার আপৎকালীন দরজা খোলার ঘটনায় মঙ্গলবার তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। এ বার তা নিয়ে আরও বড় বোমা ফাটাল কংগ্রেস। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে তুলে ধরে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সূরযেওয়ালার দাবি, ওই ব্যক্তি আসলে ছিলেন কর্নাটক থেকে বিজেপির সাংসদ তথা যুব মোর্চার জাতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। তেজস্বী এই অভিযোগ স্বীকার বা অস্বীকার কোনওটাই করেননি। ফলে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
গত ১০ জানুয়ারি চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে তিরুচিরাপল্লিগামী একটি বিমানে ওঠার পরই এক যাত্রী বিমানের আপৎকালীন দরজা খুলে ফেলেন। তা নিয়ে হুলস্থুল কাণ্ড হয়। ডিজিসিএ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই সময় জানা যায়নি যাত্রীর পরিচয়। মঙ্গলবার বিকেলে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সূরযেওয়ালা টুইট করেন একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন। তিনি লেখেন, ‘‘বিজেপির ভিআইপি বাচ্চা! বিমান সংস্থার হিম্মত হয় কী করে অভিযোগ করার? বিজেপির জন্য এটাই বুঝি নিয়ম! এতে কি যাত্রীদের নিরাপত্তায় ব্যাঘাত হল না? ওহ্, আপনি বিজেপির ভিআইপিদের কোনও প্রশ্ন করতে পারবেন না!’’
যদিও ব্যাপারটি স্বীকার বা অস্বীকার কিছুই করেননি বেঙ্গালুরু দক্ষিণের বিজেপি সাংসদ। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিজেপিরও। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে। দলের মুখপাত্র দাবি করেন, বিজেপির তামিলনাড়ুর রাজ্য সভাপতি আন্নামালাই এবং কর্নাটকের এক সাংসদ ওই বিমানে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘দুই বিজেপি নেতাকেই বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় এবং আধঘণ্টারও বেশি সময় বাসে বসিয়ে রাখা হয়। অন্য এক ডিএমকে নেতা হাফিজের দাবি, তাঁর এক বন্ধু সেই বিমানেই যাত্রা করছিলেন। তিনি দেখেছেন তেজস্বী সূর্যের হাত রয়েছে আপৎকালীন দরজার উপর। সেই বন্ধুকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘‘দরজাটা খুলে যেতেই অন্য যাত্রীদের বিমান থেকে নামিয়ে বাসে তুলে দেওয়া হয়।’’ তেজস্বী ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি বিমান সংস্থা ও যাত্রীদের দিয়েছেন।
হাফিজের আরও দাবি, তাঁর বন্ধু এ কথা প্রকাশ্যে জানাতে ভয় পাচ্ছিলেন। তাই তিনি বন্ধুর হয়ে সত্যি কী ঘটেছিল তা জানিয়ে দিলেন।