জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।
মুকেশ অম্বানীর ছেলে অনন্তের বিয়ের অনুষ্ঠানে গান্ধী পরিবারের কেউই গেলেন না। উল্টে মুম্বইয়ে যখন এই বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে এলাহি কাণ্ড চলছে, ঠিক সেই সময়ে কংগ্রেস ধনকুবেরদের উপরে সম্পদ কর বসানোর বিষয়ে মোদী সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলল। কংগ্রেসের প্রশ্ন, জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিতে এখন এ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কী অবস্থান নেবেন?
একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী অম্বানীদের বিয়ের অনুষ্ঠানে কখন হাজির হচ্ছেন, তার জন্যও অপেক্ষা করছে কংগ্রেস। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস এ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধতে পারে। কারণ, মোদী লোকসভা ভোটের প্রচারের সময়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, রাহুল গান্ধী অম্বানী-আদানিদের থেকে টেম্পো ভর্তি করে কালো টাকা পেয়েছেন কি না! কংগ্রেস সূত্রের খবর, গান্ধী পরিবারের কেউ অনন্ত অম্বানীর বিয়ের অনুষ্ঠানে না গেলেও লিখিত শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হচ্ছে। কারণ, মুকেশ নিজে ১০, জনপথে গিয়ে সনিয়া গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। আর কংগ্রেসের কোনও নেতাকে ওই অনুষ্ঠানে যেতে বারণও করা হয়নি। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিই যেমন সেখানে গিয়েছেন।
আজ কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেছেন, ধনকুবেরদের যথেষ্ট কর দেওয়া উচিত বলে বিশ্বে ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। জি-২০ গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট ব্রাজিল প্রস্তাব দিয়েছে, ধনকুবেরদের ২ শতাংশ সম্পদ কর দেওয়া উচিত। ফ্রান্স, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি তা সমর্থন করেছে। রমেশের প্রশ্ন, চলতি মাসের শেষে ব্রাজিলে জি-২০-র বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে। ভারতের ‘নন-বায়োলজিকাল’ প্রধানমন্ত্রীর এ বিষয়ে অবস্থান কী?
ব্রাজিলের এই প্রস্তাবকে আফ্রিকান ইউনিয়নও সমর্থন করেছে। ব্রাজিলের যুক্তি, যাঁদের সম্পত্তির মূল্য ১০০ কোটি ডলারের বেশি, তাঁদের থেকে বছরে ২ শতাংশ হারে সম্পদ কর আদায় করলে ৩ হাজার লোকের থেকে ২৫ হাজার কোটি ডলার আয় হতে পারে। জয়রামের বক্তব্য, ভারতে এমন ১৬৭ জন রয়েছেন, যাঁদের সম্পত্তির মূল্য ১০০ কোটি ডলারের বেশি। তাঁদের থেকে ২ শতাংশ সম্পদ কর আদায় করলে বছরে দেড় লক্ষ কোটি টাকা আয় হতে পারে। যে টাকা স্কুল, হাসপাতালে ব্যয় হতে পারে।
অতিধনীদের উপরে কর বসাতে কংগ্রেসের এই দাবি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, রাহুল গান্ধী ধনকুবেরদের থেকে দূরত্ব রাখছেন। ভোটের আগে এবং পরেও তিনি অম্বানী-আদানিদের নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানায় বিরতি দেননি।