(বাঁ দিক থেকে) অরবিন্দ কেজরীওয়াল, শীলা দীক্ষিত, সন্দীপ দীক্ষিত। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আম আদমি পার্টি (আপ)-র সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনায় ইতি হওয়ার পরেই তড়িঘড়ি দিল্লি বিধানসভা ভোটের জন্য সক্রিয় হল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত দলের কোর কমিটির বৈঠকে হয়েছে রণকৌশল নির্ধারণ। তার পর প্রথম দফায় ২১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপকে। ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে শীলা যে রাজধানীর ভোলবদলের কারিগর হিসেবে কাজ করেছিলেন, সে কথা দলমতনির্বিশেষে অনেকেই স্বীকার করেন। দিল্লি মেট্রো থেকে রাজধানীর গণপরিবহণে সিএনজি-চালিত গাড়ির প্রচলনের মতো নানা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় তাঁর আমলেই। দরিদ্র মানুষ থেকে শুরু করে নাইটক্লাবমুখী উচ্চবিত্ত, আধুনিকমনস্ক শীলা স্বচ্ছন্দ ছিলেন সকলের সঙ্গেই। পূর্ব দিল্লি থেকে সাংসদ হয়েছিলেন তাঁর পুত্র সন্দীপও।
ঘটনাচক্রে, ২০১৩ সালের বিধানসভা ভোটে ওই আসনে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলাকে হারিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। সে দিক থেকে দেখতে গেলে ওই আসনে এ বার সন্দীপের ‘প্রতিশোধের লড়াই’। বিজেপি সূত্রের খবর, নয়াদিল্লি কেন্দ্রে আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহিব সিংহ বর্মার পুত্র প্রবেশকে প্রার্থী করা হতে পারে। কংগ্রেসের প্রার্থিতালিকায় রয়েছেন এআইসিসির মুখপাত্র রাগিণী নায়েক (ওয়াজিরপুর) এবং দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দ্র যাদব (বাদলী)।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হতে পারে। কেজরীর দল ইতিমধ্যেই দু’দফায় ৩১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কংগ্রেস বা বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল আপ। বিজেপি পেয়েছিল আটটি আসন। ১৯৯৮-২০১৩ দিল্লিতে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস শেষ দু’টি বিধানসভা ভোটে একটিও আসন জিততে পারেনি।