দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
ভোটে জেতার তিন সপ্তাহ পরেও মহারাষ্ট্রে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা গড়তে পারেনি বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত)-এর ‘মহাজুটি’। এই আবহে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস।
বুধবার সন্ধ্যায় মুম্বই থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস এবং অন্যতম উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। তাঁরা রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে দিল্লি যাননি। ফলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত, গত ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্র ভোটগণনা হয়েছিল। ২৮৮টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন জোটের তিন দল— বিজেপি, শিন্ডেসেনা এবং এনসিপি(অজিত) যথাক্রমে ১৩২, ৫৭ এবং ৪১টি আসনে জেতে।
৫ ডিসেম্বর বিকেলে মুম্বইয়ের আজ়াদ ময়দানে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস। তাঁর সঙ্গেই শপথ নেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী— শিবসেনা (শিন্ডে)-র প্রধান একনাথ এবং এনসিপি (অজিত)-এর সভাপতি অজিত । কিন্তু অন্য কোনও মন্ত্রী শপথ নেননি। এই আবহে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ এবং দফতর বণ্টন ঘিরে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। বিজেপির ওই সূত্রের দাবি, আগামী শনিবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে। বিজেপির ২২, শিন্ডেসেনার ১২ এবং অজিতপন্থী এনসিপি ন’টি মন্ত্রিপদ পেতে পারে। আইন অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী-সহ মহারাষ্ট্রে ৪৩ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন।
শাসকজোট ‘মহাজুটি’র একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্বরাষ্ট্র-সহ কয়েকটি দফতর নিয়ে শরিকি টানাপড়েনের কারণেই এ বিষয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি নেওয়া হচ্ছে। সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে এখনও স্বরাষ্ট্র দফতরের দাবিতে অনড় থাকলেও তাঁকে তা দেওয়া হবে না বলেই বিজেপির ওই সূত্র জানাচ্ছে। বদলে রাজস্ব, নগরোন্নয়ন এবং পূর্ত দফতর দেওয়া হতে পারে শিন্ডেসেনাকে। কম আসনে জিতলেও অজিতের দল অর্থ, পরিকল্পনা এবং সেচের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেতে চলেছে। যা নিয়ে শিন্ডেসেনার অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।