প্রতীকী ছবি।
কোভিডের টিকায় অতিমারিকে জয় করা সম্ভব হবে কি না, তা সময় বলবে। কিন্তু মোদী সরকার এই টিকাকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাতে চলেছে— এই আশঙ্কা বিরোধী শিবিরের। পশ্চিমবঙ্গের মতো যে সব রাজ্যে বিধানসভা ভোট ঘনিয়ে এসেছে, সেখানে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র উদ্যোগী হবে কি না, সেটিও আলোচনার মধ্যে উঠে আসছে।
ভারত বায়োটেক-এর টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই তাকে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়ে দেওয়ার পরে সংশয় বেড়ছে কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতার। কংগ্রেস নেতা শশী তারুর আজ টুইট করে বলেছেন, ‘এ বার বুক চাপড়ে ‘টিকার জাতীয়তাবাদ’ শুরু করতে চলেছেন মোদী। যা সাধারণ বোধবুদ্ধি এবং বৈজ্ঞানিক নিয়মকানুনকে টেক্কা দেবে।’ তারুরের মতে, ‘টিকা উৎপাদন এবং উপভোক্তা হিসাবে ভারতের বরাবরই সুনাম রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যা তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে, তাতে সবটাই ভেস্তে যেতে পারে।’
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট বাইশে। কিন্তু এখন থেকেই টিকাকে সামনে রেখে যোগী আদিত্যনাথ সরকার সমস্ত কৃতিত্ব নিজেদের ঝুলিতে টানার চেষ্টা শুরু করবেন বলে মনে করছে এসপি। দু’দিন আগেই ‘বিজেপির দেওয়া টিকা নেওয়া ঠিক হবে না’ বলে বিতর্ক তৈরি করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব। আজ বক্তব্য কিছুটা শুধরে তিনি বলেছেন, যে সব বিজ্ঞানী টিকা তৈরি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাননি তিনি। তাঁর মন্তব্য ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে! অখিলেশের কথায়, “বিজেপির অবৈজ্ঞানিক তালি-থালি মানসিকতার বিরুদ্ধে আমরা।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “অত্যন্ত সংবেদনশীল এই টিকাকরণ যেন বিজেপির প্রচারের মঞ্চ না-হয়।”
অন্য দিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আজ জানিয়েছেন, মানসিক ভাবে অসুস্থরাই কেবল ভারতে তৈরি করোনা ভাইরাসের দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে পারে। তাঁর কথায়, ‘যাঁদের বুদ্ধিবৃত্তির সমস্যা রয়েছে এবং ভারতের বিজ্ঞানী ও শক্তির উপর আস্থা নেই, তাঁরাই এইসব ভিত্তিহীন বিবৃতি দিতে পারেন।’