জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ কংগ্রেস কর্মীদের। ছবি’ টুইটার থেকে
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র র হাতে দলের নেতা ডি কে শিবকুমারের গ্রেফতারির প্রতিবাদে কংগ্রেসের ডাকা বন্ধ ঘিরে কর্নাটক জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা। জাতীয় সড়ক-সহ বিভিন্ন রাস্তায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা অবরোধ বিক্ষোভ দেখান। কর্নাটক রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (কেএসআরটিসি)-র একাধিক বাসে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরেোধীরা। অন্য দিকে দিল্লিতে আজ বুধবারই আদালতে তোলা হবে শিবকুমারকে।
দুর্নীতির অভিযোগে চার দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর কর্নাটকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে ইডি। তার পর থেকেই কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার কর্নাটক বন্ধের ডাক দেয় কংগ্রেস। আজ সকাল থেকেই বন্ধের সমর্থনে পথে নামেন কংগ্রেস সমর্থকরা। রাস্তায় নিশানা করা হয় সরকারি বাস। পুলিশের পক্ষ থেকে কেএসআরটিসি কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি বুঝে বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তার মধ্যেই বেশ কয়েকটি বাসে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কেএসআরটিসির জনসংযোগ আধিকারিক বলেছেন, ‘‘আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। সমস্ত ডিভিশনাল অফিসারদের বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বুঝে বাস চালাতে। খোলা হয়েছে আলাদা কন্ট্রোল রুম।’’ রাস্তায় অন্যান্য যানবাহনও খুব কম। প্রায় গোটা রাজ্যেই স্কুল কলেজ বন্ধ। কোথাও কোথাও স্কুল খুললেও পডু়য়ারা কার্যত আসেনি।
মঙ্গলবার গ্রেফতারের পর থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে টুইটারে তোপ দেগেছেন, ‘ওঁরা (বিজেপি) ওঁর (শিবকুমার) এবং দলের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে। আইন মেনে আয়কর দফতর হোক বা ইডি, যত বার ডেকেছে, উনি সাড়া দিয়েছেন। সহযোগিতা করছেন। উনি কি পালিয়ে ফেরার? তাহলে কেন এটা করা হচ্ছে? শুধুমাত্র হেনস্থা এবং মানসিক নির্যাতনের জন্য। এর নিন্দা করি।’’
আর এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপালও বিবৃতি জারি করে ঘটনার নিন্দা করেছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং ইডি-সিবিআই-কে কাঠপুতুলের মতো ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া, কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাওয়ের মতো নেতারাও শিবকুমারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি বাস। ছবি: টুইটার থেকে
আরও পড়ুন: কাশ্মীরিদের সঙ্গে বৈঠক অমিত শাহের, বাহিনী কমবে পনেরো দিনে
আরও পড়ুন: সেকরাপাড়ায় ফের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি, আরও ২০টি বিপজ্জনকের তালিকায়
কিছুদিন আগে পর্যন্ত কর্নাটকে কংগ্রেস-ডেজিএস জোট সরকার ছিল। বর্তমানে জোট নিয়ে টানাপড়েন চললেও শিবকুমার ইস্যুতে জেডিএস-কে পাশেই পেয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী টুইটারে লিখেছেন, ‘বর্তমানে প্রতিহিংসার রাজনীতিই প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করতে বিরোধী দলের নেতারা হয়ে উঠেছেন সহজ লক্ষ্য। ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে আমাদের আরও কঠিন অবস্থান নেওয়া দরকার। আমি নিশ্চিত ওঁর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক অভিযোগের মোকাবিলায় শিবকুমার যথেষ্ট শক্তিশালী।