গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের এখনও প্রায় দু’সপ্তাহ বাকি। তার আগে প্রধান যুযুধান দু’পক্ষ— বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’ এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে শুরু হয়ে গেল প্রতিশ্রুতির লড়াই। তার কেন্দ্রবিন্দুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ছায়া।
মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার কয়েক মাস আগে ‘লাডকি বহিন’ প্রকল্প চালু করেছিল। পশ্চিমবঙ্গের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ধাঁচে এতে মহিলাদের মাসে দেড় হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার কোলাপুরে বিজেপির জোটের সভায় শিন্ডে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিধানসভা ভোটে জিতলে এই ভাতার পরিমাণ ১,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,১০০ টাকা করা হবে। বুধবার রাহুল গান্ধী, শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে মুম্বইয়ে বিরোধীদের ‘মহা বিকাশ আঘাড়ী’র যৌথ প্রচারের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে ‘মহালক্ষ্মী যোজনা’ চালু করে মহিলাদের মাসে ৩ হাজার টাকা করে ভাতা দেবেন।
মহিলাদের উন্নয়নের জন্য শিন্ডের অন্যতম লক্ষ্য কর্মসংস্থান। তিনি ২৫ হাজার মহিলাকে পুলিশবাহিনীতে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কৃষকদের জন্যেও রয়েছে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। কৃষিঋণ মকুবের পাশাপাশি বার্ষিক আর্থিক সহায়তা ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার করা কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) উপর অতিরিক্ত ২০ শতাংশ ভর্তুকি। প্রবীণদের মাসিক পেনশন দেড় হাজার থেকে বাড়িয়ে ২১০০ করা এবং ১০ লক্ষ পড়ুয়াকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃত্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে মহাজুটির ইস্তাহারে। সেই সঙ্গে রয়েছে বছরে ২৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের অঙ্গীকার।
কোলাপুরের সভায় শিন্ডে ১০টি ‘গ্যারান্টি’র ঘোষণা করেছিলেন। রাহুল-শরদ-উদ্ধবেরা তার জবাবে মুম্বইয়ে পাঁচ ‘গ্যারান্টি’র প্রতিশ্রুতি। মহিলাদের ভাতা এবং নিখরচায় রাজ্য সরকারি পরিবহণে যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মকুব, বেকারদের ৪০০০ টাকা মাসিক অর্থসাহায্য, ২৫ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্যবিমা এবং জাতগণনা করে তার রিপোর্টের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ৫০ শতাংশ ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে আঘাড়ীর সভায়।