জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।
বেকারত্ব নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, মোদী জমানায় ১০ বছরের ‘অন্যায় কাল’-এ দেশে চাকরির আকাল নিয়ে এসেছেন মোদী।
দীর্ঘমেয়াদে কত চাকরি তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়টি তুলে ধরে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের অভিযোগ, মোদী-(গৌতম) আদানির যুগলবন্দি চাকরির বাজারে দুর্ভিক্ষ নিয়ে এসেছে। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বার বার এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন বলেও দাবি জয়রামের। তাঁর দাবি, লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স-এর এক প্রথম সারির অর্থনীতিবিদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, গত ১০ বছরে বেকারত্ব সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এর মূল্য চোকাতে হচ্ছে যুব সমাজকে।
জয়রামের দাবি, ওই বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, বর্তমানে যে পরিমাণ নাগরিকের চাকরি রয়েছে, তার পরিমাণ ১০ বছর আগের তুলনায় কম। বেকারত্বের পরিমাণ বর্তমানে আট শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছে। যা ১০ বছর আগে চার শতাংশের আশেপাশে ছিল বলে দাবি জয়রামের। গত ৩০ বছরের মধ্যে মোদী জমানাতেই সংগঠিত ক্ষেত্রে মাস গেলে বেতনভূক কর্মচারীর সংখ্যা কমেছে। পূর্বতন সরকারের আমলে ১৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে তা ২৫ শতাংশে পৌঁছেছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে তা আবার কমে ২২ শতাংশে নেমেছে বলে দাবি জয়রামের। পাঁচ বছর আগের তুলনায় বেতনভূক কর্মচারীর উপার্জন পাঁচ শতাংশ কমেছে বলেও জানিয়েছেন।
আয়বৈষম্যের অভিযোগ তুলে জয়রাম জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রথম ২০টি কোম্পানি ৯০ শতাংশ লাভ করছে, বাকি লক্ষাধিক সংস্থার মুনাফা মাত্র ১০ শতাংশ। ২০১৪ সালে প্রথম ২০টি কোম্পানির মুনাফার পরিমাণ ছিল ৪০ শতাংশ। গত ১০ বছরে মোদী ঘনিষ্ঠ আদানির সম্পত্তি বেড়েছে ১০ গুণ। আদানির হাতে ছ’টি বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ সংস্থা, গ্যাস পাইপলাইনের পরে এ বার মুম্বইয়ের ধারাভীও তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জয়রামের অভিযোগ। এমনকি অস্ত্র তৈরির বরাতও দেওয়া হয়েছে আদানিদের, অভিযোগ জয়রামের। মোদী সরকার কর্পোরেট ট্যাক্স ২৫ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। যার ফলে প্রতি বছর এক লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে রাজস্বের। মকুব করা হয়েছে সাড়ে ১৪ লক্ষ কোটি টাকা। জয়রাম জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ স্কুল, হাসপাতালের পিছনে খরচ করা যেত। কিন্তু তা কিছু শিল্পপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও সরব হয়েছেন এই কংগ্রেস নেতা।