দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল চিত্র।
সমস্যা পরিকাঠামোজনিত। প্রয়োজন বাড়তি কর্মী ও আধুনিক নিরাপত্তা মেশিন। কিন্তু দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় কমাতে বুনিয়াদি পরিকাঠামো না বাড়িয়ে কেবল দু’টি নতুন প্রবেশপথ খুলে দায় সারলেন বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এতে বিমানবন্দরে প্রবেশপথে ভিড় সামান্য কমলেও, নিরাপত্তা যাচাইয়ের আগে দিনভর যে সর্পিল লাইন দেখা যাচ্ছে, তা কী ভাবে স্বাভাবিক হবে তার কোনও দিশা দেখাতে ব্যর্থ সিন্ধিয়া, এমনটাই মত বিরোধীদের।
প্রথমে বিমানবন্দরের ঢোকার গেটে, তার পরে নিরাপত্তা যাচাই করতে গিয়ে— দু’টি জায়গায় দীর্ঘ লাইনের কারণে বিমান ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা আগে পৌঁছেও নির্দিষ্ট বিমান ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন অনেকেই। যার ফলে আজ দিল্লি বিমানবন্দর টি-থ্রি’র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান জ্যোতিরাদিত্য। পরে বিমানবন্দরের ১৪-১৬ নম্বর খুলে দেওয়া হয়। লক্ষ্য ছিল অধিকাংশ বিমান টি-ওয়ান এবং টি-টু–এর পরিবর্তে টি-থ্রি টার্মিনাল থেকে ছাড়ার। কিন্তু ভিড় অন্যতম কারণ হওয়ায় সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে টি-থ্রি থেকে বেশ কিছু বিমানের ওঠানামা টি-ওয়ান এবং টি-টু-তে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের বক্তব্য, ভিড়ের কারণ কর্মীর অভাব এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত আধুনিক মেশিনের অভাব রয়েছে। জ্যোতিরাদিত্য সেই মূল সমস্যা সমাধানে উদ্যোগীই হননি।