—প্রতীকী ছবি।
ত্রিপুরা দিয়ে মানব পাচার ক্রমশ বাড়তে থাকায় একদিকে যেমন দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তেমনই রাজ্যের বিজেপি সরকার এবং সীমান্তে নজরদারির দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে। প্রায় দিনই বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি নাগরিকেরা রাজ্যে প্রবেশ করছেন বলে অভিযোগ আসছে নানা প্রান্ত থেকে। সম্প্রতি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) রাজ্যের বেশ কয়েক জন মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। গত এক বছরে প্রায় ৩২ জন মানবপাচারে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে তারা।
এই বছরের শুরু থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত ৯৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ৩ জন রোহিঙ্গাকে জিআরপি গ্রেফতার করেছে বলে আগরতলা রেল স্টেশনের আধিকারিক তাপস দাস জানিয়েছেন। তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে সাহায্য করার অভিযোগে ১৬ জন দালালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে আসা বেশির ভাগ লোকই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছেন বলে উদ্বিগ্ন গোয়েন্দারা।
গত নভেম্বর মাসে এনআইএ ত্রিপুরা থেকে ২১ জন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যায়। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত মামলায় আরও আট অভিযুক্তকে চার্জশিট জমা দিয়েছে তারা। চার্জশিটে জলিল মিয়া, হানান মিয়া, কাজল সরকার, অধীর দাস এবং আনোয়ার হুসেন ওরফে মামা-র নাম রয়েছে। রবিউল হাসান নামে একজন বাংলাদেশি নাগরিকের নামও রয়েছে চার্জশিটে। এনআইএ-র দাবি, পশ্চিমবঙ্গের লিটন চক্রবর্তী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে সাহায্য করত।