বারাণসীর অসসি ঘাটে গেলে চোখে পড়বে এই মহিলাকে। ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মলিন শাড়ি, চুল উসকোখুসকো, কাঁধে একটা ছোট ব্যাগ। রাস্তার পাশে এক মহিলাকে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবিনাশ। কিছুটা কৌতূহলবশতই।
নাম জিজ্ঞাসা করতেই মহিলা জানান তাঁর নাম স্বাতী। বারাণসীর অসসি ঘাটের আশপাশেই থাকেন। না কোনও ঘর নয়, রাস্তাতেই দিন, রাত মাস-বছর কেটে যায় তাঁর। ভিক্ষাবৃত্তি করেই দিন চলে তাঁর। স্বাতীর সঙ্গে একটু আলাপ জমাতেই চমকে উঠেছিলেন অবিনাশ।
ঝরঝরে ইংরেজিতে কথা বলেন স্বাতী। শুধু তাই নয়, স্বাতীর দাবি তিনি কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক। অনেক দিন আগেই নিজের বাড়ি ছেড়ে বারাণসীতে চলে এসেছেন স্বাতী। তিনি জানান, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তাঁর শরীরের ডান দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়। অভিযোগ, তার পরই তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেন পরিবারের সদস্যরা। তার পর থেকেই গত তিন বছর ধরে স্বাতীর ঠিকানা বারাণসীর অসসি ঘাট। স্থানীয়রা যখন যা খেতে দেন তাই খেয়েই দিন চালান তিনি।
স্বাতী বলেন, “অনেকেই আমাকে মানসিক ভারসাম্যহীন ভাবেন। কিন্তু আমি তা নই।”