কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীর গলা কেটে খুন ইঞ্জিনিয়র স্বামীর। — প্রতীকী ছবি।
মেয়ের জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী। আর তা নিয়েই ঘোর আপত্তি স্বামীর। এমনকি সদ্যোজাতের পিতৃত্ব গ্রহণ না করার কথাও বলেন তিনি। এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া চলাকালীনই রান্নাঘর থেকে সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে ফেললেন পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র স্বামী। পরে নিজেই আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বর্তমানে পুলিশ হাজত তাঁর ঠিকানা। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণে জেলায়।
২০২০-এর ২০ নভেম্বর নান্দেদে বিয়ে হয় জ্যোতি এবং রাজেন্দ্রর। চাকরি সূত্রে দু’জনেই থাকেন পুণেতে। গত ২৭ জুন নান্দেদে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন জ্যোতি। কিন্তু মেয়ে হওয়া মেনে নিতে পারেননি ইঞ্জিনিয়র স্বামী। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, রাজেন্দ্র সন্তানের পিতৃত্ব গ্রহণেও নারাজ ছিলেন। তা নিয়েই পুণের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলত প্রায় রোজ। সোমবার রাতে তা মাত্রা ছাড়ায়। রাগের মাথায় রান্নাঘর থেকে সব্জি কাটার ছুরি নিয়ে এসে জ্যোতির গলায় চালিয়ে দেন রাজেন্দ্র। তার পর দেহ থেকে গলা কেটে ফেলার চেষ্টা করেন। ফিনকি দিয়ে গলা থেকে বেরোতে থাকে রক্ত। ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় জ্যোতির। কিছু ক্ষণ পর সম্বিত ফিরলে রাজেন্দ্র বুঝতে পারেন কী করেছেন! তখন তিনি গিয়ে বাড়িওয়ালার কাছে সব খুলে বলেন। জানান তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চান। খবর যায় পুলিশে। ধরে নিয়ে যায় পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র রাজেন্দ্রকে।
জ্যোতি নিজেও ছিলেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়র। একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করতেন। কিন্তু সন্তানের জন্মের আগে চাকরি থেকে ছুটি নেন। কয়েক মাস আগেই আবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিন দিন আগে ইস্তফা দেন চাকরিতে। স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যই ঝগড়া লেগে থাকত। সোমবার রাতে তা চরমে পৌঁছয়।