বিতর্কে ‘সাধগুরু’।
অনুষ্ঠানের মঞ্চে হাতে সাপ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ‘সাধগুরু’ নামে পরিচিত ইশা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জগ্গি বাসুদেব। তাঁর বিরুদ্ধে সেই সাপকে ফাঁদ পেতে ধরা এবং বেআইনি ভাবে পাচার করার মামলা করা হল।
কর্নাটকের চিক্কাবাল্লাপুরে একটি অনুষ্ঠান ছিল সাধগুরুর। সেই মঞ্চেই ঝলমলে আলোর সামনে তিনি বন্যপ্রাণীটিকে প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বন কর্তা জানিয়েছেন, সাপটি ছিল র্যাট স্নেক প্রজাতির। তবে সেটিকে মঞ্চে দেখানোর পর আর বন দফতরের কাছে ফেরানো হয়নি। এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের মামলা দায়ের হয়েছে সাধগুরুর প্রতিষ্ঠিত ইশা ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন ভাঙার অভিযোগও আনা হয়েছে।
অভিযোগে জানানো হয়েছে, গত ৯ থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ঘটেছে এই ঘটনা। বিরল প্রজাতির ওই র্যাট স্নেকটিকে যে ভাবে অনুষ্ঠানে ব্যবহার করেছেন সাধগুরু, তাতে প্রাণীটির ক্ষতি হতে পারত। এই মর্মে বাসুদেদেবের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ ধ্বংসের মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
যদিও ইশা ফাউন্ডেশন স্বপক্ষ সমর্থনে জানিয়েছেন, সাধগুরুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্যি নয়। ওই সাপটিকে বেআইনি ভাবে ধরা হয়নি। মঞ্চে সাপটি উঠে এসেছিল। সাধগুরু বরং অত্যন্ত সাবধানে সেই পরিস্থিতি সামলে, সাপটিকে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে তুলে নিয়েছিলেন হাতে। পরে সেটি জঙ্গলে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া হয়।