কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
জল্পনা ছিল সোমবার বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে দলবদলের কথা ঘোষণা করবেন তিনি। কিন্তু এদিন সকালে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সচিন পাইলট একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না।’’ এর পরেই এ দিন রাজস্থানের বিদ্রোহী নেতার উদ্দেশে সমঝোতার বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর দূত রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা এদিন বলেন, ‘সনিয়াজি এবং রাহুলজি আলোচনায় রাজি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খোলা রয়েছে।’’
জয়পুরে এদিন সচিনের উদ্দেশে সুরজেওয়ালার বার্তা, ‘‘যদি সমস্যা থাকে, আলোচনা করুন। রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারকে আরও শক্তিশালী করুন। সচিন ও অন্যান্যদের জন্য কংগ্রেসের দরজা খোলা। মতপার্থক্য হতে পারে, কিন্তু সে জন্য দলকে দুর্বল করা উচিত নয়।’’
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করলেও সচিন এবং তাঁর অনুগামী কংগ্রেস ও নির্দল বিধায়কেরা এদিন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বাসভবনে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন। বৈঠকে সচিনকে উপস্থিত থাকার আবেদন জানানো হলেও তিনি এদিন গুরুগ্রামের একটি রিসর্টে ছিলেন বলেই খবর। ওই বৈঠকে যোগ না দিলে বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে এর আগে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে যাচ্ছি না’, দলবদলের জল্পনার মাঝেই বলছেন সচিন
সুরজেওয়ালা অবশ্য এদিন বলেন, ‘‘সচিনজি-সহ কংগ্রেসের সব বিধায়ককেই আমরা সম্মান করি। ওঁরা আমাদেরও লোক। পরিবারের কেউ ক্ষুব্ধ হলে তিনি তো বাবা, মা, কাকার সঙ্গেই আলোচনা করেন।’’ সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, উত্তপ্ত হেমতাবাদ, তীব্র আক্রমণে বিজেপি
গহলৌত শিবিরের দাবি, সচিন অনুগামী তিন বিধায়ক এদিন কংগ্রেসের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ‘আশ্বাস’ মিলেছে কয়েকজন বিজেপি বিধায়কের তরফেও। তবে চার মাস আগে মধ্যপ্রদেশের ‘অভিজ্ঞতা’র কারণে কংগ্রেস নেতৃত্ব যে স্বস্তিতে নেই তা সুরজেওয়ালার বার্তাতেই স্পষ্ট। রাজস্থানে সরকার বাঁচাতে জয়পুরে গিয়ে গতকাল থেকেই দফায় দফায় বৈঠক করছেন সুরজেওয়ালা এবং এআইসিসি’র দুই প্রতিনিধি অবিনাশ পাণ্ডে এবং অজয় মাকেন।
সরাসরি বিজেপিতে যোগ না দিলেও সচিন পাইলট এবং তাঁর অনুগামীরা ‘প্রগতিশীল কংগ্রেস’ নামে নতুন দল গড়তে পারেন বলেও জল্পনা রয়েছে। গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস সাংসদ পি এল পুনিয়া এদিন সকালে বলেছিলেন, ‘‘সচিন তো এখন বিজেপিতে’’। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান বদলে তিনি বলেন, ‘‘আমি ঠিক ও ভাবে বলতে চাইনি। মুখ ফসকে ভুল বলে ফেলেছিলাম।’’