ফাইল চিত্র।
উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারার হান্দোয়ারায় জঙ্গিদের সঙ্গে রাতভর গুলির লড়াইয়ে সেনার এক কর্নেল ও মেজর-সহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। সেনা সূত্রে খবর, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশকর্মী এবং আরও দুই জওয়ান। এই সংঘর্ষে দুই জঙ্গিও নিহত হয়েছে বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন মোদী। টুইট করে তিনি বলেছেন, “হান্দোয়ারায় নিহত সেনাদের আত্মত্যাগ ও সাহস মনে রাখবে দেশবাসী। ভারতবাসীর রক্ষায় তাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে অক্লান্ত ভাবে কাজ করে চলেছেন। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।”
সেনাবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ কুপওয়ারার ছাঞ্জিমুল্লা এলাকায় জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেয়ে অভিযানে নেমেছিল যৌথ বাহিনী। ওই দিন বিকেলেই ওই এলাকার রাজওয়ার জঙ্গলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালায় তারা। কিন্তু সেখানে জঙ্গিদের হদিশ পাওয়া যায়নি। এর পরই গোটা ছাঙ্গিমুল্লা ঘিরে অভিযান শুরু করে বাহিনী।
পরে গোপন সূত্রে বাহিনী খবর পায়, ছাঙ্গিমুল্লাতেই জঙ্গিরা একটি বাড়িতে কয়েক জনকে বন্দি করে রেখেছে জঙ্গিরা। সেখানে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন এক কর্নেল ও মেজর। প্রথমে আশপাশের বাড়িগুলো ফাঁকা করে দেয় সেনা। তার পর অভিযানে নামে। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই তাদের লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। এ ভাবে বেশ কয়েক ঘণ্টা দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। তার পর কিছু ক্ষণ গুলিবর্ষণ বন্ধ থাকে। এই সুযোগে বাহিনী ওই বাড়ির আরও কাছে গিয়ে বেষ্টনী আরও কড়া করার চেষ্টা করে। ফের গুলির লড়াই চালু হয়।
সেনা সূত্রে জানানো হয়, বাহিনীর যে দলটি বাড়িটিকে ঘিরে ফেলেছিল তাদের সঙ্গে রোডিয়ো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে ব্যাপক গুলির লড়াই শুরু হয়। রাতভর দু’পক্ষের মধ্য দফায় দফায় গুলির লড়াইয়ে সেনার দুই শীর্ষ অফিসার, দুই জওয়ান এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক কর্মী নিহত হন। নিহত হয়েছে দুই জঙ্গিও। তবে বাড়ির ভিতরে কত জন জঙ্গি রয়েছে, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় বলে সেনা সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: মৃত্যু-আক্রান্তে ফের রেকর্ড, দেশে করোনা আক্রান্ত ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই, মৃত ১৩০১