ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশে যাত্রীবাহী দোতলা বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হলেন অন্তত ২০ জন। ঘটনার পর আরও ২০ জন যাত্রী নিখোঁজ। প্রশাসনের আশঙ্কা, এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কন্নৌজ জেলায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জয়পুরগামী ওই দোতলা বাসে অন্তত জনা পঞ্চাশেক যাত্রী ছিলেন। কন্নৌজ জেলার ছিবরামউতে একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের পর সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায় ওই দোতলা বাস ও ট্রাকে। জ্বলন্ত বাসের ভিতরে আটকে পড়েন যাত্রীরা। সেখানেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় অনেকের।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকেও। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলার প্রশাসনিক কর্তারাও। কন্নৌজের জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘আগুন নেভানোর জন্য কন্নৌজ ও মইনপুরী থেকে চারটে দমকলের ইঞ্জিন ডেকে পাঠানো হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ঐশীরা অভিযুক্ত, কিন্তু মুখোশধারীরা? দিল্লি পুলিশের ভূমিকায় বিতর্ক
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় ওই বাসের ভিতরে আটকে পড়া বেশ কিছু যাত্রীকে বাইরে বার করে আনেন উদ্ধারকারীরা। এর পর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কানপুর রেঞ্জের আইজি মোহিত আগরওয়াল বলেন, ‘‘উদ্ধারকাজে নেমে অন্তত ২১ জন যাত্রীকে ওই বাস থেকে বার করে আনা সম্ভব হয়েছে।’’ তবে বাসের ভিতরে অন্তত কুড়ি জন যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইজি মোহিত আগরওয়ালের কথায়, ‘‘বাসের ভিতরে আর কোনও যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা যাবে, তেমন সম্ভাবনা খুবই কম। ঠিক কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, দুর্ঘটনার পর ওই বাসটির মাত্র ১০-১২ যাত্রীই বাইরে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বাসে খুব ভিড় ছিল। সকলেই মূলত পর্যটক। দুর্ঘটনার পর ১০-১২ জন ছাড়া সকলেই ভিতরে আটকে পড়েন।’’
সরকারি সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই সঙ্গে মৃতদের পরিবারের জন্য ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। পাশাপাশি, আহতদের প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।