প্রতীকী চিত্র।
দুপুর থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তরুণীর। বহু ক্ষণ অপেক্ষা করার পর পুলিশে খবর দেন হস্টেলের কর্মীরা। পুলিশ আসার পর হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ১৯ বছর বয়সি ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনাটি মঙ্গলবার মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভ এলাকার একটি হস্টেলে ঘটে। তরুণী কী ভাবে মারা গিয়েছেন তা নিয়ে ঘনিয়ে উঠেছে রহস্য। মুম্বই পুলিশের অনুমান, তরুণীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। তার পর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। আবার খুনের সন্দেহও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে কিছুই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
তবে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ঘটনার দিন হস্টেল চত্বর থেকে এক ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে দেখেন স্থানীয়েরা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ৩০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিটির নাম ওমপ্রকাশ কানৌজিয়া। ১৫ বছর ধরে হস্টেলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছেন তিনি। পুলিশের সন্দেহ, তরুণীর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ওমপ্রকাশ। তাই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি। তল্লাশি শুরু করলে মঙ্গলবার বিকেলে হস্টেলের নিকটবর্তী রেল স্টেশন থেকে ওমপ্রকাশের দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রীর নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। হস্টেলে তরুণীর ঘরের দরজা খুলতেই ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, ছাত্রীকে নির্যাতন করার পর হস্টেল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত ওমপ্রকাশ। তার পর রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করেন তিনি। তরুণীর পাশাপাশি অভিযুক্তের দেহও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।