সেই দৃশ্য। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
চাদর গায়ে দিয়ে মেঝেতে অঘোরে ঘুমোচ্ছেন এক ব্যক্তি। বিশাল বড় পরিসর। আশপাশে কেউ নেই। কিন্তু তারই মধ্যে এক ‘অতিথি’ নিশ্চুপে ঢুকে পড়ল। ধীরে ধীরে এগোতে শুরু করল ওই ব্যক্তির দিকে।
ঘুমে এতটাই আচ্ছন্ন ছিলেন যে নতুন ‘অতিথি’র উপস্থিতি টেরই পাননি তিনি। নতুন ওই ‘অতিথি’ আসলে একটি গোখরো। সেটি এগোতে এগোতে ওই ব্যক্তির চাদরের ভিতরে ঢুকে পড়ল। তখনও হুঁশ নেই যে তাঁর সঙ্গে একই বিছানায় কে হাজির হয়েছে। একটু অস্বস্তি বোধ করায় মাঝে একটু নড়ে ওঠেন। ব্যাস ওইটুকুই। তার পর আবার চাদরটাকে ভাল করে গায়ে টেনে নেন।
ঠিক তখনই অনুভব করেন, পায়ে কিছু একটা পেঁচিয়ে রয়েছে। তখনই চাদর ছেড়ে তড়াক করে লাফ মেরে বিছানা ছাড়েন। ঠিক তখনই গোখরোটি তাঁকে কামড়ানোর জন্য উদ্যত হয়। তার পরই সেখান পালিয়ে যায় সেটি। সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন ওই ব্যক্তি। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ঘটনাস্থলে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বাঁসওয়ারা এলাকার একটি মন্দিরে। ওই মন্দিরের মেঝেতে রাতে ঘুমোচ্ছিলেন জয় উপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। তখনই ঘটনাটি ঘটে। আরাবল্লী রেঞ্জ লাগোয়া এলাকায় রাতে বিভিন্ন পশু এবং সরীসৃপ অনায়াসে ঘুরে বেড়ায়। ফলে হামেশাই বাড়ি বা মন্দিরে সাপ এবং অন্য পশু ঢুকে পড়ে।
এই ঘটনায় নেটাগরিকদের কেউ হাস্যরস মিশিয়ে বলেছেন, ‘একটু উষ্ণতা পাওয়ার আশায় চাদরের নীচে ঢুকেছিল সাপটি।’ কেউ আবার বলেছেন, ‘কপাল ভাল যে এত ক্ষণ ভিতরে থাকার পরও সাপটি কামড়ায়নি।’ এমন ঘটনা দেখে অনেকেই শিউরে উঠেছেন।