প্রিয়ঙ্কার হয়ে হঠাৎ সরব ‘রাজীব-ঘনিষ্ঠ’

সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করা পঙ্কজ শঙ্কর এক সময়ে রাজীব গাঁধীর নেকনজরে পড়েছিলেন। তার পর থেকেই ঘনিষ্ঠ গাঁধী পরিবারের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাহুল গাঁধী কংগ্রেসের সভাপতি থাকাকালীনও স্লোগান উঠত— ‘প্রিয়ঙ্কা লাও, কংগ্রেস বচাও’। এ বারে গাঁধী পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ এক জনই প্রকাশ্যে সেই দাবি তুললেন। এমন অভিযোগও করলেন, সনিয়া গাঁধীর ‘পুত্রমোহ’ আর রাহুল গাঁধীর আপত্তিতেই দলের সভানেত্রী হতে পারছেন না প্রিয়ঙ্কা।

Advertisement

সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করা পঙ্কজ শঙ্কর এক সময়ে রাজীব গাঁধীর নেকনজরে পড়েছিলেন। তার পর থেকেই ঘনিষ্ঠ গাঁধী পরিবারের। কংগ্রেসের সদস্য হননি। কিন্তু রাহুল গাঁধীর সঙ্গী হয়ে ঘুরতেন। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনের সময়েও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার মিডিয়া সংক্রান্ত বিষয় পঙ্কজকে সামলাতে দেখা গিয়েছে। ভোটে হারের পরে রাহুল গাঁধীর ইস্তফা ও ঘন ঘন বিদেশ সফর নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করছেন শঙ্কর। আজ দিনভর জনে জনে সাক্ষাৎকার দিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।

শঙ্কর যা বলছেল, তার সারমর্ম হল— প্রিয়ঙ্কাই ২০০৪ সালে রাহুলকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন। তার পরে ১৫ বছর প্রিয়ঙ্কা নিজেকে পর্দার পিছনে রেখেছেন। কিন্তু যুব সংগঠন থেকে লোকসভা নির্বাচন, রাহুলকে একের পর এক সুযোগ দেওয়ার পরেও এখনও তাঁর ‘ইন্টার্নশিপ’ শেষ হল না। দলে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। ঘন ঘন বিদেশে যান। দশ মিনিট পর কী করবেন, কেউ জানে না। অথচ বলা হচ্ছে, সেই রাহুলই আবার সভাপতি হতে পারেন!

Advertisement

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ঘরে ফিরেছে ৫০ জঙ্গি, দাবি সেনার

প্রশ্ন, রাহুলকে যদি সভাপতি পদে দেখতে না চান, তা হলে কে হবেন?

পঙ্কজের জবাব, ‘‘ঝান্ডেওয়ালা (দিল্লিতে আরএসএসের দফতর) থেকে নাগপুর (আরএসএসের সদর দফতর) সকলেই ভয় পান, প্রিয়ঙ্কা যেন না হন। কেন? প্রিয়ঙ্কাকে সভানেত্রী করতে কে আটকাচ্ছে? কংগ্রেসে কে এত ক্ষমতাশালী? রাহুল যদি না আটকান, তবে কে? রাহুলই সব সিদ্ধান্ত নেবেন?’’ প্রশ্ন: ভাই বোনকে আটকাচ্ছেন? তো সনিয়া গাঁধী কী করছেন? পঙ্কজের জবাব: ‘‘পুত্রমোহে সব ছত্রভঙ্গ, আমি আগেই বলেছি!’’

সকালেই কংগ্রেস বলে, পঙ্কজ শঙ্করের সঙ্গে দলের কোনও লেনদেন নেই। তিনি সাধারণ সদস্যও নন। পরে দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাও বলেন, ‘‘সনিয়া গাঁধী কিংবা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার সঙ্গে কোনও দিন কাজই করেননি পঙ্কজ। প্রিয়ঙ্কার দফতরের সঙ্গেও তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। বিজেপির সুবিধা করতে এমন বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে না তো?’’ রণদীপের দাবি, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কথা বলেই এই বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দলের বাকি কোনও নেতা এই নিয়ে গোটা দিন একটি কথাও বলেননি।

কংগ্রেসের একাংশ বলছেন, আসলে সম্প্রতি নিজের একটি ওয়েব সিরিজ তৈরি করতে চলেছেন পঙ্কজ। তার প্রচারের জন্যই বিতর্ক বাধাচ্ছেন। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, ভুলই বা কী বলছেন তিনি? আর বিজেপিতে যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে পঙ্কজ বলেন, ‘‘আমি এখনও মনে করি, বিজেপি দেশের জন্য বিপদ। আর রাজনীতিতে কেরিয়ার গড়ার উদ্দেশ্য আমার নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement