—প্রতীকী চিত্র।
করোনা প্রকোপ সামাল দিতে এ বার তৃতীয় দফায় ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হল। এপ্রিল মাসে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার তরফে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস-কে এই কাজে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ভাইরাল প্রতিরোধী ফ্যাভিপিরাভির ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে তারা। দেশের শীর্ষস্থানীয় ১০ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের উপর এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ বছর জুলাই-অগস্টের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ওই সংস্থা।
মঙ্গলবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দেওয়া একটি রিপোর্টে বিষয়টি তুলে ধরে গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস। এই প্রথম দেশের কোনও ওষুধ সংস্থাকে করোনা রোগীদের উপর ভাইরাল প্রতিরোধী ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অনুমতি দেওয়া হল বলে জানিয়েছে তারা। জাপানের ফুজিফিল্ম হোল্ডিংস কর্পোরেশনের সহায়ক সংস্থা ফুজিফিল্ম কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড এই ফ্যাভিপিরাভির ওষুধটিকে ‘অভিগান’ নামে তৈরি করে। ২০১৪ সালে সেটিকে ফ্লু প্রতিরোধী ওষুধ হিসাবে দেশে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।
সংস্থার গবেষক ও কর্মীরা মিলে ইতিমধ্যেই ওষুধটির মূল উপাদান তৈরি করতে সফল হয়েছেন। কোভিড-১৯ রোগীদের উপর এই ওষুধের কী প্রভাব পড়ে তা দেখতে সকলেই উৎসুক বলে জানিয়েছেন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিকা ট্যানন। এখনও পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক তৈরি না হওয়ায় তাঁদের এই পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে বলে আশাবাদী তিনি। তাঁর মতে, এতে কোভিড চিকিৎসার পথে অনেকটাই এগনো যাবে।
আরও পড়ুন: আজ রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: করোনা-সংক্রমণ নেই এয়ার ইন্ডিয়ার ৫ পাইলটের, দ্বিতীয় পরীক্ষা নেগেটিভ
ফ্যাভিপিরাভির ওষুধের সক্রিয় উপাদান করোনা চিকিৎসায় কার্যকর হয়েছে এবং এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বলে এপ্রিলে সংবাদমাধ্যমে জানান চিনের এক আধিকারিক। তার পরেই তৃতীয় দফায় এই ওষুধটি নিয়ে কাজ শুরু হয়। এর আগে, গত সপ্তাহে ভাইরাস প্রতিরোধী রেমডেসিভিরের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলও ইতিবাচক হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, ওই ওষুধে করোনা রোগীরা দ্রুত সেরে উঠছেন। এর পাশাপাশি, স্ট্রাইডস ফার্মা সায়েন্স লিমিটেড নামের আর একটি ভারতীয় সংস্থা বাণিজ্যিক ভাবে ফ্যাভিপিরাভির ট্যাবলেট তৈরি করেছে। সেটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আবেদন জানিয়েছে তারা।