মাউন্ট এভারেস্ট। ফাইল চিত্র।
সাল ২০১৬। মে মাস। বেশ কিছু ছবি দিয়ে পর্বতারোহী নরেন্দ্র সিংহ যাদব ঘোষণা করলেন তিনি এভারেস্ট জয় করেছেন। ২০২০-র তেনজিং নোরগে অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড-এর জন্য মনোনীতও হয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র। কিন্তু মিথ্যে বেশি দিন চাপা থাকেনি।
নেটমাধ্যমে প্রকাশ করা নরেন্দ্রর ছবিগুলি নিয়ে নেপাল সরকার তদন্ত শুরু করতেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে। নেপাল সরকার জানতে পারে, নরেন্দ্র যে সব ছবি নেটমাধ্যমে ছেড়ে এভারেস্ট জয়ের দাবি করছেন, সেগুলি ভুয়ো। এভারেস্টে ওঠেননি নরেন্দ্র। এর পরই তাঁকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে নেপাল সরকার।
চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে মুষড়ে পড়েছিলেন নরেন্দ্র। এর পরই তিনি এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফেলেন। এ বছরেই এভারেস্টে ওঠেন নরেন্দ্র। প্রমাণ হিসেবে নিজের সঙ্গে দু’জন শেরপা নিয়ে গিয়েছিলেন। নরেন্দ্রর গাইড পেম্বা রিতা শেরপা বলেন, “আমরা নরেন্দ্রর অনেক ছবি তুলেছি। এভারেস্টে ওঠার ভিডিয়োও করেছি। কেননা, আমাদের সংস্থারও একটি খ্যাতি জড়িয়ে রয়েছে এই আরোহণের সঙ্গে।”
নরেন্দ্র সিংহ যাদব। হাতে এভারেস্ট জয়ের শংসাপত্র।
নরেন্দ্রর উপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ২০ মে। তার সাত দিনের মধ্যেই এভারেস্টে ওঠেন তিনি। প্রমাণ হিসেবে বহু ছবি এবং ভিডিয়ো নেপাল সরকারের হাতে তুলে দেন নরেন্দ্র। নেপাল পর্যটন দফতরের আধিকারিক ভীষ্মরাজ ভট্টরাই বলেন, “এভারেস্টে ওঠার অনেক প্রমাণ দিয়েছেন নরেন্দ্র যাদব। আমরা ওঁকে শংসাপত্র দিয়েছি।”
নরেন্দ্র বলেন, “এভারেস্ট জয় পর্বতারোহীদের কাছে একটা স্বপ্ন। কিন্তু আমার কাছে এভারেস্ট একটি জীবন। আমার বিরুদ্ধে অনেক রকম অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ মুছে দিতে, নিজেকে প্রমাণ করতে এভারেস্টে উঠেছি।”
নরেন্দ্রর এভারেস্টে ওঠার ভুয়ো ছবি প্রকাশ্যে আসার পর তেনজিং নোরগে পুরস্কার আটকে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে নরেন্দ্র বলেন, “ওই মুহূর্তটা আমার কাছে ভীষণ যন্ত্রণার ছিল। আজ প্রমাণ করেছি আমি এভারেস্ট জয় করেছি।”