প্রতীকী ছবি।
দুপুর ১টা থেকে স্কুলে বায়োলজি প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা। তাই স্নান-খাওয়া সেরে তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিল সে। কখন যে তার পিছু নিতে শুরু করেছে এক যুবক, বুঝতেই পারেনি। স্কুলে ঢোকার কিছু আগে ঘাড়ে আচমকা ধারালো অস্ত্রের কোপ। মুহূর্তে ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ওই ছাত্রী। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের কোটমা গ্রামে। ওই ছাত্রীর স্কুলের ঠিক সামনেই। এক প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকেদের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম পূজা পানিকা। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী পূজা ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। পূজার পরিবারের দাবি, ধৃত দিলীপ সাহু দীর্ঘদিন ধরেই ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করত। বহুবার প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছিল। কিন্তু তার কোনও প্রস্তাবেই সাড়া দেননি তিনি। উপরন্তু ২০১৪ সালে ওই যুবকের নামে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন পূজা। এই নিয়ে দিলীপের ভিতরে প্রচুর বিদ্বেষ তৈরি হয়েছিল। তার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক প্রাক্তন শিক্ষক। তিনি জানান, স্কুলের কিছু আগে থেকেই ওই যুবক তাঁর পিছু নেয়। তিনি তখন ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২০ পা দূরে। আচমকা পিছন থেকে ওই ছাত্রীর উপর হামলা চালায় দিলীপ। তার হাতে একটা তরোয়াল ছিল। সেটা দিয়ে পূজার গলায় পরপর তিন বার কোপ মারে। মুহূর্তে দেহটা নিস্তেজ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। কিছু ক্ষণের জন্য স্তম্ভিত হয়ে পড়েন তিনি। তার পরই চিৎকার জুড়ে দেন। কিন্তু তত ক্ষণে অস্ত্র ফেলে দিয়ে চম্পট দিয়েছে ঘাতক। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও বাইরে বেরিয়ে এসে এই দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘প্রবলেম সলভড, গুড বাই এভরিওয়ান’