কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছেন। একই সঙ্গে পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দোষীদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই
দিল্লির জহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় হনুমান জয়ন্তীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জহাঙ্গিরপুরী। অভিযোগ, মিছিলকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ইট, পাথর ছোড়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ জহাঙ্গীরপুরীতে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। সংঘর্ষে আহত হন ন’জন। তাঁদের মধ্যে আট জন পুলিশকর্মী এবং এক জন সাধারণ নাগরিক।
সংঘর্ষের সময় গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তাতে আহত হয়েছেন সাব-ইনস্পেক্টর মেধা লাল মীনা। তাঁর হাতে গুলি লেগেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আহত পুলিশ আধিকারিক বলেন, “দুই গোষ্ঠীর প্রায় এক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। দু’দিক থেকেই পাথরবৃষ্টি হচ্ছিল।” ওই ভিড়ের মধ্যে থেকেই গুলি চলে বলে দাবি পুলিশ আধিকারিকের।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানার বক্তব্য, ‘‘কেবল জহাঙ্গিরপুরী নয়, আশপাশের এলাকাতেও গোলমাল হয়েছে। আমরা অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছি। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে উচ্চপদস্থ অফিসারদের নিজ নিজ এলাকায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। টহলদারি সঠিক ভাবে হচ্ছে কি না সে দিকে নজর রাখবেন তাঁরা।’’ নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়ো খবর ও গুজবে কান না দিতে বাসিন্দাদের অনুরোধ করেছেন তিনি।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দোষীদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছেন। একই সঙ্গে পরিস্থিতির উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।