সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। —ফাইল চিত্র।
কোনও মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে আর মৌখিক আবেদন জানানো যাবে না শীর্ষ আদালতে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। এ বার থেকে দ্রুত শুনানির জন্য লিখিত ভাবে (আদালতের নির্দিষ্ট স্লিপে) কিংবা ইমেলে আবেদন জানাতে হবে। কী কারণে দ্রুত শুনানি চাই, তা-ও উল্লেখ করতে হবে। সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। পরের দিনই শীর্ষ আদালতে দ্রুত শুনানির আর্জিতে পদ্ধতিগত বদল আনলেন প্রধান বিচারপতি খন্না।
আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর প্রতিবেদনে প্রকাশ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সময়কালে দ্রুত শুনানির জন্য মৌখিক আবেদনের চল ছিল। কোনও মামলা দ্রুত শুনানির প্রয়োজন মনে করলে আইনজীবীরা তা মৌখিক ভাবে জানাতে পারতেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গ্রেফতারির আশঙ্কা বা কোনও নির্মাণ ভেঙে ফেলার আশঙ্কার কথা জানিয়ে এই ধরনের মৌখিক আবেদনগুলি করা হত। তবে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে সমস্ত দ্রুত শুনানির আর্জি লিখিত ভাবে বা ইমেলেই জানাতে হবে।
রবিবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়েছেন চন্দ্রচূড়। রেওয়াজ অনুসারে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি অবসর গ্রহণের আগে তাঁর পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম সুপারিশ করে যান। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি পরবর্তী প্রধান বিচারপতিকে নিযুক্ত করেন। এই প্রচলিত রীতি অনুযায়ীই, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি খন্না। প্রধান বিচারপতি খন্নার কার্যকালের মেয়াদ ১৮৩ দিনের। ২০২৫ সালের ১৩ মে অবসর নেবেন তিনি।
দায়িত্ব গ্রহণের পরই বিচার ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সময়ের ব্যবধান কমানোর জন্য একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে কাজ করতে চান তিনি। পাশাপাশি বিচারের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া যাতে সাধারণ নাগরিকদের প্রতি নিষ্ঠুর না হয়, সেটিও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিশ্চিত করতে চান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।