প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল ছবি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে প্রাক্তন বিচারপতি ও বিচারবিভাগীয় আধিকারিকদের বকেয়া পেনশন ও অবসরকালীন সুযোগসুবিধা না দেওয়ার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবকে তলব করলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এ দিন জানিয়েছে, প্রত্যেককে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে শীর্ষ আদালতে। এর অন্যথা হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
প্রাক্তন বিচারপতি ও বিচারবিভাগীয় আধিকারিকেরা প্রাপ্য সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন না, এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে ‘অল ইন্ডিয়া জাজেস অ্যাসোসিয়েশন’। এই মামলার শুনানি চলাকালীন প্রবীণ কৌঁসুলি কে পরমেশ্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে জানান, শীর্ষ আদালত বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও, সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া সত্ত্বেও, ‘সেকেন্ড ন্যাশনাল জুডিশিয়াল পে কমিশন’-এর অনুমোদন মেনে এখনও পর্যন্ত বিচারপতি ও বিচারবিভাগীয় আধিকারিকদের বকেয়া পেনশন মেটানো হয়নি ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এর পরেই পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, অসম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, ঝাড়খণ্ড, কেরল, বিহার, গোয়া, হরিয়ানা ও ওড়িশার মুখ্যসচিবকে ২৭ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
বেঞ্চ জানিয়েছে, মুখ্যসচিবদের আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। তামিলনাড়ু সরকারের আইনজীবী অমিত আনন্দ তিওয়ারি তড়িঘড়ি আদালতের কাছে জানান, তাদের সব কাজ হয়ে গিয়েছে, ছ’সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। আবেদন জানান, তামিলনাড়ুর মুখ্যসচিবকে যদি সশরীরে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ও অনলাইন উপস্থিতিতে অনুমতি দেওয়া হয়। তিওয়ারি জানান, মাত্র দু’দিন হল মুখ্যসচিব পদে নিযুক্ত হয়েছেন এন মুরুগানন্দম। কিন্ত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোনও এক জন মুখ্যসচিবের জন্য ব্যতিক্রম ঘটবে না।