অনেকটাই স্বাভাবিক অসমের রাস্তাঘাট। পিটিিআই
বিক্ষোভের আগুন কিছুটা হলেও প্রশমিত। শনিবারের মতোই তাই রবিবারও সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করা হল অসমে। যদিও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধই থাকছে সোমবার পর্যন্ত। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, অসমের রাস্তায় বৃহস্পতিবার পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের একজনের মৃত্যু হয়েছে রবিবার।
শনিবার পরীক্ষামূলক ভাবে গুয়াহাটি, নাহারকাটিয়া, ডিব্রুগড়ের পশ্চিমাঞ্চল, তেনুঘাটে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করা হয়। কার্ফু শিথিল হতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতে রাস্তায় নামেন সাধারণ মানুষ। পেট্রোল পাম্প, এটিএম-এর সামনে লম্বা লাইন দেখা যায়। এদিনও ছবিটা মোটামুটি একই রকম। তবে অসম ও মেঘালয়ে এদিন ইউজিসি-র নেট পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে নিরাপত্তাজনিত কারণেই।
অসম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল জ্যোতি মোহান্ত শনিবার রাতে জানান, ‘‘রাজ্যে হিংসা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। পরিস্থিতিরউপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সিএবি বিরোধী আন্দোলনে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্যে। ভিডিও ফুটেজ দেখে অন্যদেরও শনাক্ত করার কাজ চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’’
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে অসম, ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো। পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে ওঠে অসম ও ত্রিপুরায়। গুয়াহাটিতে অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েন। প্রতিবাদ চলে সিএবি-র বিরুদ্ধে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া মতো ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়েও।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আধাসামরিক বাহিনী নামানো হয়। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে দুই বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার। কার্ফু জারি করা হয় গুয়াহাটিতে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই চলে আন্দোলন।