কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। ছবি- টুইটার থেকে সংগৃহীত।
নোটবন্দির চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর) আর জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)। নোটবন্দির সিদ্ধান্ত আমাদের যতটা ক্ষতি করেছে, এনপিআর এবং এনআরসি হবে তার দ্বিগুণ ক্ষতিকারক।
দিল্লিতে এআইসিসি-র সদর দফতরে শনিবার কংগ্রেসের ১৩৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদ্যাপনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করার পর এনপিআর এবং এনআরসি নিয়ে এই ভাবেই তোপ দাগলেন রাহুল গাঁধী।
বললেন, ‘‘নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ওঁর (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) ১৫ জন বন্ধুকে কোনও নথিপত্রই দাখিল করতে হবে না। এই সবের জন্য (এনপিআর এবং এনআরসি) বরাদ্দ করা অর্থ ঢুকবে ওই ১৫ জনের পকেটে। আর এই আইনগুলির জন্য ভুগতে হবে দেশের গরিব মানুষদের।’’
শুক্রবার ছত্তীসগঢ়েও এনপিআর এবং এনআরসি-র তীব্র নিন্দা করে রাহুল বলেন, ‘‘এই দু’টি আইনই গরিব মানুষের কাঁধে করের বোঝা আরও বাড়াবে। ২০১৬-য় নোটবন্দি তাঁদের যতটা ক্ষতি করেছে, তার দ্বিগুণ ক্ষতি করবে এই দু’টি আইন।’’
বন্দিশালা প্রসঙ্গে বিজেপি যে তাঁকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলেছে, তার জবাব দিতে গিয়ে রাহুল এ দিন এআইসিসি দফতরে হাজির সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আপনারা হয়তো আমার টুইট দেখেছেন। সেখানে বলেছি, দেশজুড়ে ডিটেনশান সেন্ট (বন্দিশালা) খোলা হয়েছে। আরও বেশি করে খোলার তোড়জোড় চলছে। আপনারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণও শুনে থাকতে পারেন। যেখানে উনি বলেছেন, দেশের কোথাও কোনও বন্দিশালা খোলা হয়নি। আবার আপনারা হয়তো বন্দিশালা খোলার ভিডিয়োও দেখেছেন। এ বার আপনারাই ঠিক করুন, কে মিথ্যাবাদী।’’
বন্দিশালা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্যের বিরোধিতা রাহুল অবশ্য বৃহস্পতিবারই করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘আরএসএসের প্রধানমন্ত্রী ভারতমাতাকে মিথ্যা বলছেন।’’