বিমানবন্দর চত্বরে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন সিআইএসএফ জওয়ান। —ফাইল চিত্র।
বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ সিআইএএসএফের। এই আধাসেনা বাহিনীর বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখা চালু করেছে কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইউনিট। সম্প্রতি একের পর এক দেশীয় উড়ান সংস্থার বিমানে বোমা থাকার ভুয়ো তথ্য ছড়িয়েছে। তার জেরে বিঘ্নিত হয়েছে বেশ কিছু বিমানের স্বাভাবিক পরিষেবা। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। কড়া আইন চালু করার ভাবনাচিন্তা চলছে। এই আবহে সিআইএসএফের বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখায় চালু করা হয় বিশেষ ইউনিট। সিআইএসএফের এক মুখপাত্র শনিবার জানান, দেশের বিমানবন্দরগুলিতে বিশ্বমানের নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা দিতে এই ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুযায়ী, দেশের ৬৮টি বিমানবন্দরে নিরাপত্তা দেয় সিআইএসএফ। আধাসেনা বাহিনীর বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখার প্রায় ৫০ হাজার জওয়ান মোতায়েন রয়েছেন বিমানবন্দরগুলিতে। সিআইএসএফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন (বিসিএএস) বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই ইউনিট গঠিত হয়েছে। বস্তুত, বিসিএএস হল কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি সংস্থা। এই সংস্থা দেশীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ করে।
সম্প্রতি যে ভাবে একের পর এক বিমানে বোমা রাখার ভুয়ো তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে এই ইউনিট গঠন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বোমাতঙ্কের কারণে সম্প্রতি একের পর এক দেশীয় বিমান পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটেছে। কোনওটি দেরিতে রওনা দিয়েছে, কোনওটিকে মাঝ আকাশ থেকে যাত্রাপথ বদলে অন্যত্র জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করানো হয়েছে। পরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ভুয়ো তথ্য ছড়িয়েছে। সরকারি হিসাব অনুসারে চলতি বছরে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি বিমানে বোমা রাখার ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হয়েছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। সরকারি হিসাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৯৪টি বিমানে বোমা রাখার ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
এই ধরনের ভুয়ো তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে কেন্দ্র কড়া পদক্ষেপেরও ভাবনাচিন্তা করছে। অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু সম্প্রতি রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, আইনে সংশোধনী আনার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।